Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Sunday, July 24, 2016

নদীর এপার ওপার কোথায় কবে ভাঙন শুরু হবে,সেই প্রতীক্ষায় বসে না থেকে ভাঙনের রোধ করার ক্ষমতা না থাকলেও ভাঙন থেকে বাঁচার রাস্তা তৈরি করে নিতে হবে। নাগরিকত্বের আধার হল জমি।তাই নাগরিকত্বের লড়াই আসলে জমির লড়াই। ভারতবর্ষে সেই নীল বিদ্রোহের সময শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ভূমি সংস্কারের দাবি তুলে চাষিদের জমির অধিকারের কথা তুলেছিলেন, যা পরবর্তীকালে প্রজা কৃষক পার্টির এজেন্ডা হয়।নাগরি�

নদীর এপার ওপার কোথায় কবে ভাঙন  শুরু হবে,সেই প্রতীক্ষায় বসে না থেকে ভাঙনের রোধ করার ক্ষমতা না থাকলেও ভাঙন থেকে বাঁচার রাস্তা তৈরি করে নিতে হবে।

নাগরিকত্বের আধার হল জমি।তাই নাগরিকত্বের লড়াই আসলে জমির লড়াই। ভারতবর্ষে সেই নীল বিদ্রোহের সময শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ভূমি সংস্কারের দাবি তুলে চাষিদের জমির অধিকারের কথা তুলেছিলেন, যা পরবর্তীকালে প্রজা কৃষক পার্টির এজেন্ডা হয়।নাগরিকত্বের লড়াইটা সেই তখনই শুরু হয়ে গিয়েছিল।এ লড়াইয়ের শেষ নেই।


নাগরিকত্বের সমস্যা নাগরিকত্ব অর্জনে ছাড় দিলেও থেকে যাচ্ছে, দরকার আরো বড়,আরো সংগঠিত আন্দোলনের, দরকার সংযম ও সংহতির!




পলাশ বিশ্বাস

2003 সালের নাগরিকত্ব হরণ কালা কানুনকে সংশোধিত করে এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে।কিছু ছাড় দিলেও ঔ কানুন রদ হচ্ছে না।ফলে তার অন্যান্য ধারা ও শর্তাবলি বলবত থাকছে।18 জুলাই 1948 সালের পর যারা এসেছেন তাঁরা এখনো ঔ আইনবলে বিদেশি থাকছেন যদি না তাঁরা নূতন ছাড়ের সুযোগে নাগরিকত্ব অর্জন করছেন।


বরং আন্দোলন ও সংগঠনের সাফল্য ও অনিবার্যতা মেনে নিয়ে আইন যেমনই হোক,সব উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব অর্জনের কাজে এখন জোরালো উদ্বাস্তু আন্দোলন ও সংগঠন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। ক্ষমতা রদবদল হলেই বিপর্যয়,যেমন 2003 সালে হল এবং সেই বিপর্যয় এখনো শেষ হয়নি,উপরন্তু বাংলাদেশ থেকে অবশিস্ট প্রায় আড়াই কোটি হিংন্দুদের শরণার্থী হয়ে ভারতে চলে আসার পর পরিস্থিতি আজকের মতও থাকবে না।


17971 সালের পর পরিস্তিতি যেমন পালটেছে,ঔ ভাবেই পালটাতেই থাকবে।

ইতিহাসের ধারা একখাতে বইতে পারে না।

লাগাতার সংগঠন ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উদ্বাস্তুদের জন্য আপাতত মন্দের ভালো খবর।ভারত সরকার বিদেশ থেকে আগত সবাইকে যেমন নানারকম ছাড় দিচ্ছে,বাংলাদেশ থেকে আগত বাঙালি হিন্দুদেরও তেমনতর কিছু ছাড় দিচ্ছে।আবার 2003 সালের নাগরিকত্ব হরণ কালা কানুনকে সংশোধিত করে এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে।


কিছু ছাড় দিলেও ঔ কানুন রদ হচ্ছে না।ফলে তার অন্যান্য ধারা ও শর্তাবলি বলবত থাকছে।18 জুলাই 1948 সালের পর যারা এসেছেন তাঁরা এখনো ঔ আইনবলে বিদেশি থাকছেন যদি না তাঁরা নূতন ছাড়ের সুযোগে নাগরিকত্ব অর্জন করছেন।


2003 সালের আগে পর্যন্ত নাগরিকত্ব আইন 1955 কার্যকরি ছিল,যে আইনে শরণার্থীদের নাগরিকত্বের কোনো শর্ত নেই।ঔ আইন বলে শরণার্থীরা নাগরিকত্ব অর্জন না করেও ভারতের নাগরিক ছিলেন এবং জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার থাকায় তাঁদের সন্তান সন্ততিদের নাগরিকত্বে কোনো সংশয় ছিল না।


2003 সালের আইনে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আর হচ্ছে না।যারা ঔ 18 জুলাই 1948 সালের পরে এসেছেন বা আসছেন সবাইকে নাগরিকত্ব অর্জন করতে হবে।


মনে রাখা দরকার,উদ্বাস্তুদের মুল দাবি ঔ কালোআইন বাতিল করার ছিল এবং এই লক্ষেই প্রথম থেকে আজ অবধি আন্দোলন চলেছে।অতএব 2003 সালের আইন বহাল রেখে কিছু ছাড় দিয়ে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব কাস্ট সার্টিফিকেটের মত হাসিল করতে হবে।


এমন পরিস্থিতিতে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্বের সমস্যা মিটে গেল বা ভারত সরকার সব উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দিয়ে দিল,এমনটা ভাবার কোনো বস্তব কারণ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় পেশ হওয়ায় নজরে আসছে না।


অতএব এখনই কৃতিত্বের দাবি না করে,উদ্বাস্তু সংগঠন আরো মজবূত ও আন্দোলন আরো তীব্র করা সবচেয়ে বেশি দরকারি।বলা বাহুল্য,যতটুকু এসেছে.তা একক কৃতিত্বে নয়।কম বেশি অবদান অনেকেরই আছে।যাদের দাবি সবচেয়ে জোরালো হতে পারত,তাঁরা হয়ত আদৌ দাবি করছেন না কৃতিত্বের।সমাজের কাজে নিজের ঢাক নিজে না পেটালেই জনগণ ঠিক চিনে নিতে পারে আসল মানুষগুলিকে।প্লীজ ঢাক না পিটিয়ে,আরও দীর্ঘ কঠিন লড়াইযের প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করুন।চুপচাপ আসল কাজটা করাই ওস্তাদের লক্ষণ।


বরং আন্দোলন ও সংগঠনের সাফল্য ও অনিবার্যতা মেনে নিয়ে আইন যেমনই হোক,সব উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব অর্জনের কাজে এখন উদ্বাস্তু আন্দোলন ও সংগঠন সবচেয়ে বেশি প্রযোজন।ক্ষমতা রদবদল হলেই বিপর্যয়,যেমন 2003 সালে হল এবং সেই বিপর্যয় এখনো শেষ হয়নি,উপরন্তু বাংলাদেশ থেকে অবশিস্ট প্রায় আড়াই কোটি হিংন্দুদের শরণার্থী হয়ে ভারতে চলে আসার পর পরিস্থিতি আজকের মতও থাকবে না।


17971 সালের পর পরিস্তিতি যেমন পালটেছে,ঔ ভাবেই পালটাতেই থাকবে।

ইতিহাসের ধারা একখাতে বইতে পারে না।


নদীর এপার ওপার কোথায় কবে ভাঙন  শুরু হবে,সেই প্রতীক্ষায় বসে না থেকে ভাঙনের রোধ করার ক্ষমতা না থাকলেও ভাঙন থেকে বাঁচার রাস্তা তৈরি করে নিতে হবে।


1971 সালের আগে বা পরে এমনটা হয়নি।উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্বের সংকট 2003 সালের কালো আইনে দেখা না দিলে আজ নিখিল ভারতের মত সর্বভারতীয় উদ্বাস্তু সংগঠনও সারা দেশে তৈরি হত না।মতুয়া মহাসঙ্ঘোর ভাঙনে উদ্বাস্তুদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে এবং এই ভাঙন রোগ আবার যাতে সংরক্রামক রুপ ধারণ না করে,সেটা মাথায রাখা প্রয়োজন।


নাগরিকত্বের আধার হল জমি।তাই নাগরিকত্বের লড়াই আসলে জমির লড়াই।ভারতবর্ষে সেই নীল বিদ্রোহের সময শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ভূমি সংস্কারের দাবি তুলে চাষিদের জমির অধিকারের কথা তুলেছিলেন,যা পরবর্তীকালে প্রজা কৃষক পার্টির এজেন্ডা হয়।নাগরিকত্বের লড়াইটা সেই তখনই শুরু হয়ে গিয়েছিল।


নাগরিকত্বের লড়াইটা ঠিক ওখান থেকে শুরু হয়েছিল।সেই অর্থে মতুয়ারা,ওপার বাংলা থেকে বিভিন্ন চাষি আজীবিকাযুক্ত জনগোষ্ঠিরা সেই নীল বিদ্রোহের সময় থেকে জমির মালিকানা যাদের,তাঁদের সেই শাসক শ্রেণীর শত্রু।এই অবস্থান পালটায়নি,পালটাবে না।


ভারত ভাগের ইতিহাসে শাসক শ্রেণীর কেউই ধোয়া তুলসী পাতা নয়।ভারত ভাগের প্রেক্ষাপটে বা ভারতভাগের পর কেঊ আমাদের কথা বলেনে,ভাবেনি এবং আমরাও প্বর্ববঙ্গের সেই শ্রেণীগত সাংগঠনিক শক্তি সারা ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার জন্য হারিয়েছি,তাই শত্রুপক্ষ আামাদের নাগরিকত্ব হতে দেয়নি 2003 সালে আগে এবং যাদের নাগরিকত্বে প্রশ্ন ছিল না,তাঁদের নাগরিকত্ব হরণ করল উদ্বাস্তুদের জমি দখলের লক্ষ্যে।


নাগরিকত্ব সমস্যা মূলে এই নির্মম বাস্তব।


বাংলাদেশে যারা রযে গিয়েচেন তাঁরাও যেমন শাসক শ্রেণীর চক্ষুশুল, এপার বাংলায় এবং সারা দেশেও উদ্বাস্তুরা সেই জমি হাসিল করা চাষি।


এবং এই কারণেই বার বার মরিচঝাঁপির পুনরাবৃত্তি হতেই থাকবে।




P


No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors