Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Wednesday, September 25, 2013

এসএসসির ফল, পুজোর পরই চাকরিতে ৩০হাজার শিক্ষক

এসএসসির ফল, পুজোর পরই চাকরিতে ৩০হাজার শিক্ষক






এই সময়: রাজ্যে যখন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তখন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) পরীক্ষায় ১৬ হাজারের বেশি শিক্ষক পদে কোনও যোগ্য প্রার্থীই মিলল না৷ শিক্ষাবিদদের একাংশের আশঙ্কা, এতে স্কুল স্তরে পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ কারণ, প্রায় অর্ধেক শিক্ষক পদই শূন্য রয়ে গেল৷ ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে এই শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল৷ তার ফল প্রকাশ হল বুধবার৷ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রায় দু'বছর লাগল৷ 

এদিন এসএসসি আয়োজিত রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য আঞ্চলিক পরীক্ষার যে ফল প্রকাশ হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, গণিত, জীব বিদ্যা, রসায়ন এবং পদার্থ বিদ্যা বিষয়ে পাস, অনার্স এবং স্নাতকোত্তরে প্রায় অধিকাংশ আসনেই সফল প্রার্থী পাওয়া যায়নি৷ কমিশনের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল জানান, এবার মোট ৪৬,৪০১টি শূন্যপদে চাকরি পাবেন ৩০ হাজারের কাছাকাছি৷ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিকাশ ভবনে বলেন, 'চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই ফের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেবে এসএসসি৷' চিত্তরঞ্জনবাবু জানান, সব মিলিয়ে পরের পরীক্ষায় প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে৷ এটি ছিল এসএসসির দ্বাদশ পরীক্ষা৷ 

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, 'আদালতের দুটি নির্দেশ মেনে এবার আমরা শিক্ষক নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করেছি৷ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তের নির্দেশে বিএড প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে৷ সেইসঙ্গে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর নির্দেশে সংরক্ষণের আওতাভুক্ত প্রার্থীদের একাধিক সম্ভাব্য তালিকায় নাম রাখা হয়েছে৷ বিষয়, ক্যাটাগরি, লিঙ্গ এবং স্কুলের মাধ্যম হিসাবে সেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷' কমিশন জানিয়েছে, মোট ৩০,৩৭৮ জনের তালিকা করা হয়েছে৷ তার মধ্যে প্রথম দফার তালিকায় সরাসরি ঠাঁই পেয়েছেন ২২,৬৪৯ জন৷ পূর্বাঞ্চলে ২,৯৪৭, উত্তরাঞ্চলে ৭,২৫২, দক্ষিণাঞ্চলে ৩,৯৪৪, পশ্চিমাঞ্চলে ৫,০৬১ এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৩,৪৪৫ জনের প্রথম তালিকায় সরাসরি নাম রয়েছে৷ বাকি ৭,৭২৯ জন ওয়েটিং লিস্টে আছেন৷ এছাড়াও সফল প্রার্থীদের সার্বিক মেধা তালিকা তৈরি হয়েছে৷ প্রথম দফায় ১-৯ অক্টোবর কাউন্সেলিং হবে৷ সেজন্য চিঠি পাঠানো হবে৷ কালীপুজো মিটলেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতিমতো নতুন শিক্ষক পদে এসএসসি'র মাধ্যমে প্রায় ছয় হাজার পার্শ্বশিক্ষক চাকরি পেয়েছেন বলে কমিশনের চেয়ারম্যান দাবি করেন৷ 

চিত্তরঞ্জনবাবু জানান, সব মিলিয়ে ৩০,৩৭৮ জন সফল প্রার্থীর মধ্যে এবার বিএড প্রার্থীর সংখ্যা ২৪ হাজারের মতো৷ আঞ্চলিক ভিত্তিতে কলা বিভাগের বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল এবং সংস্কৃত বিষয়ে বি এড প্রার্থীদের প্রাধান্যই বেশি৷ শিক্ষক নিয়োগের কাজ শেষ হলেই রাজ্যের স্কুলে-স্কুলে ইচ্ছুক শিক্ষকদের আবেদনের ভিত্তিতে সরাসরি বদলি চালু হবে৷ এই সংক্রান্ত প্রস্তাব ইতিমধ্যে স্কুলশিক্ষা দপ্তর ঘুরে আইন বিভাগের অনুমোদনে গিয়েছে৷ সেজন্য নভেম্বরে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতে পারে৷ তবে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগেই স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও গ্রন্থাগারিক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করা হবে৷ আসন্ন শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাতেও বিএড প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে৷ 

রাজ্যের প্রাক্তন স্কুল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দে বলেন, 'প্রথম দফায় তো ২২ হাজারের মতো শিক্ষক নিয়োগ হবে৷ খুবই কম ভর্তি হচ্ছে৷ ফলে মোট শূন্য পদের অর্ধেকেরও বেশি খালি থাকছে৷ ওয়েটিং লিস্ট থেকে এত প্রার্থী নিয়োগেও সময় লাগবে৷' প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীহারেন্দু চৌধুরি বলেন, 'যে সব স্কুল উন্নীত হয়েছে, সেখানে যে পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ নতুন শিক্ষক নিয়োগ হতে কম করে এক বছর সময় লাগবে৷ এদিকে শিক্ষার অধিকার আইন মোতাবেক, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতও মানা হচ্ছে না৷ ফলে সব মিলিয়ে স্কুলশিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে৷' 



মোট শূন্য শিক্ষক পদ ৪৬,৪০১টি ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়েছিল ৩৬,৫৮৮ জনকে কাউন্সেলিংয়ে সরাসরি ডাক ২২,৬৪৯ জনকে ওয়েটিং লিষ্টের প্রার্থী ৭,৭২৯ জন শিক্ষক নিয়োগের পরবর্তী বিজ্ঞাপন চলতি বছরের ডিসেম্বরে সরাসরি বদলির আবেদনের সম্ভাবনা নভেম্বরে 

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors