Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Saturday, July 10, 2010

Fwd: [bangla-vision] ওরা ভুল পথে যাচ্ছে? by শাবা আবদুল্লাহ



---------- Forwarded message ----------
From: kazi Mohammad Ismail <kazimohammadismail@yahoo.com>
Date: 2010/7/9
Subject: [bangla-vision] ওরা ভুল পথে যাচ্ছে? by শাবা আবদুল্লাহ

 
শনিবার, ২৬ আষাঢ় ১৪১৭; ২৭ রজব ১৪৩১; ১০ জুলাই ২০১০; রাত ০৮:৩৮ (ঢাকা সময়)
ভিশন ২০৩০: উন্নত মূল্যবোধ, জাতীয় ঐক্য এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যেক পরিবারের জন্য নিজের পাকা বাড়ী, নিজের গাড়ী এবং প্রতিটি তরুণ-তরুণীর জন্য সম্মানজনক চাকুরী।

ওরা ভুল পথে যাচ্ছে?

শাবা আবদুল্লাহ

১৯৩৮ সাল। রবীন্দ্রনাথের গোরা উপন্যাসের চলচ্চিত্রের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দু-তিন দিনের মধ্যেই ট্রেড শো হবে। এ সময় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সঙ্গীত ঠিকভাবে হয়নি বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ছবির মুক্তি ঠেকিয়ে দেয়। সবার মাথায় হাত। ছবিটির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি ছবিটিতে রবীন্দ্রনাথের ৬টি ও নিজের ১টি গান যুক্ত করেন। নজরুল তখন অনুমতির জন্য সরাসরি রবীন্দ্রনাথের কাছে চলে গেলেন। ছবি দেখানোর জন্য ছবির একটি প্রিন্ট ও প্রজেক্টর সাথে নিলেন। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞার কথা রবীন্দ্রনাথ জানতেন না। তিনি অবাক হয়ে নজরুলকে বললেন, ওরা কি তোমার চেয়ে আমার গান ভালো বুঝে? দাও, কোথায় স্বাক্ষর দিতে হবে, দিয়ে দেই। নজরুল বললেন, গুরুদেব আগে ছবিটা দেখে নেন। রবীন্দ্রনাথ বললেন, আগে স্বাক্ষর দেই, তারপর না হয় সবাইকে নিয়ে ছবি দেখবো।

খোদ রবীন্দ্রনাথের চেয়ে অতি উৎসাহিরা তাঁর গানের দরদ বেশি দেখাতে গিয়ে যেমন একটি শিল্পকর্মের মৃত্যু দিতে বসেছিল, তেমনি আজ এমন অতি উৎসাহিদের তৎপরতায় আওয়ামী লীগেরও রাজনীতিতে বিচ্যুতি শুরু হয়েছে অনেকটা লক্ষ্যহীনভাবেই।

আমরা যারা প্রবাসী এবং আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করি; তাদেরকে এই অতি উৎসাহিদের তৎপরতায় প্রায়ই লজ্জিত হতে হয়। মিডিয়ার বদৌলতে সবকিছুই এখন স্পষ্ট হয়ে যায়, একটু দেখে শুনে কাজ করলেই তো হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কাঁচা লোকের মতো গায়ের জোরে সবকিছু করা ঠিক নয়।

আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধুর মত কৌশলী ও সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফল হতে দেখেছি। বিগত ১/১১-এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ভূমিকা জননেত্রীকে পৃথিবীর মহিলা নেতৃত্বের এক সফল অনুকরণীয় দৃষ্টান্তে রূপায়িত করেছে। অসংখ্য দলের সমন্বয়ে মহাজোট তৈরী করে জননেত্রী ঐক্যের যে প্রবাহ সৃষ্টি করেছেন তার একক কৃতিত্ব শুধু তারই। এ কৃতিত্ব প্রবাহমান থাকবে এবং তিনি বাঙ্গালী জাতিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত করবেন এটাই আমার ও আমার মত বঙ্গবন্ধুপ্রেমীদের প্রত্যাশা। তবে এ বিজয়কে দুধের মাছি সুবিধা ভোগী নবাগত বর্ণচোরেরা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে নেত্রীকে মিসগাইডের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সকল অর্জনকে ব্যর্থ করে দিতে পারে।

প্রশ্ন জাগে, আওয়ামী লীগের জন্য জামাত কেন মাথাব্যথার কারণ হলো? জামাত কি আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ? এটাও অতি উৎসাহি বা নব্য আওয়ামী লীগারদের ফসল নয় কি? মাত্র ২টি সিটের অধিকারী জামাত কিভাবে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয় বুঝে আসে না। জামাতের যে রাজনীতি তারা কোন দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বিশ্ব এখন প্রগতির দিকে চলছে। জামাতের প্রগতি বিরোধী অবস্থান কখনো তাদেরকে ক্ষমতায় বা প্রধান প্রতিপক্ষে নিতে পারবে না।

অন্যদিকে জামাত নির্মূল হলে কারা বেশি লাভবান হবে? কোনভাবেই আওয়ামী লীগ নয়। বিএনপি-ই লাভবান হবে বেশি। আর জামাত শক্তিশালী হলে বিএনপির-ই ক্ষতি বেশি। যেহেতু জামাত কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারবে না, সেহেতু জামাতকে বহাল তবিয়তে রাখা আওয়ামী লীগের জন্যই লাভ। একটু বেশি বেড়ে গিয়ে তারা পৃথক নির্বাচন করলেই আওয়ামী লীগের জন্য শাপে বর। তাদের ভোট কাটাকাটিতে সবসময় আওয়ামী লীগ চলে আসবে। এজন্য আকারে ইঙ্গিতে জামাতকে কিছুটা শক্তিশালী করা আমাদের রাজনীতির জন্যই প্রয়োজন।

আসলে জামাতের আদর্শ এবং বিএনপির আদর্শ সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওরা বিএনপির সাথে আছে শুধু শক্তিশালী হওয়ার জন্য। ওরা ভোট কাটলে শুধু বিএনপিরই ভোট কাটে। সুতরাং জামাতের গায়ে হাওয়া দেওয়া প্রয়োজন।

আমরা অবাক হয়ে যাই, এই সহজ অংক কিভাবে আমাদের নীতি-নির্ধারকগণ বোঝেন না? অথচ ১৯৯৬ সালে ঠিকই এ হিসাব বুঝে রাজনীতির চিত্রই পাল্টিয়ে দেয়া গিয়েছিল। ২০০১ সালে জোট গঠন করে তারা নির্বাচন করে এবং সরকারের অংশীদার হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের মাঝে চারদলীয়জোট বিরোধী মনোভাব তীব্র থাকায় তাদের একত্রে নির্বাচন কাজে লাগে নি। কিন্তু এ নির্বাচনের পর বিএনপি-জামাত দূরত্ব অনেক বৃদ্ধি পায়। ধারণা করা হচ্ছিল, ওরা আর কখনো এক হবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকগণ এই সহজ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারলেন না। এ সময় শুধু বিএনপিকে টার্গেট করলে এমনিতেই জামাত ছুটে যেতো। অথচ জামাতকে এমনভাবে ধরা হলো যে, ওরা আরো বেশি বিএনপিকে আঁকড়ে ধরলো। বিএনপির জন্য হয়ে গেল তা শাপে বর। যার প্রমাণ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনে জামাত ঠিকই আলাদা নির্বাচন করতে এগিয়ে আসে। ব্যাপক কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমরা জামাতকে আরো বেশি টার্গেট করলাম, তাদের প্রতি খড়গহস্ত হলাম। শেষ পর্যন্ত তারা বিএনপিকে সাপোর্ট দিয়ে দিলো। ফলে আমরা চট্টগ্রাম হারিয়ে বসি। এটা নির্দ্বিধায় বলা যায় বিএনপি-জামাত আলাদা হলে আমাদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারতো না। আমাদের নীতির্নিধারকদের এটা ভাবা উচিত যে, সবসময় ২০০৮ এর সুযোগ আসে না। আর তাই 'বিএনপি-জামাত এক হলেও ভোট পাবে না'- নেতৃবৃন্দের এ ধারণা চট্টগ্রামে ভুল প্রমাণিত হল।

বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে একটি মহল নেত্রীকে এবং দলকে মিসগাইড করে দলের পরাজয়কে এগিয়ে দিচ্ছে। নইলে বিভিন্ন বার সহ সুপ্রিমকোর্ট বার কাউন্সিল নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকাবস্থায় পরাজয় হওয়া এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র মহিউদ্দিনের মত নেতার পরাজয় কোন সাধারণ ঘটনা নয়। জাতীয় সংসদে এত বড় বিজয়ের মাত্র ১৮ মাসের মাথায় দল জননেত্রীকে এভাবে হতাশ করবে তা কল্পনাও করা যায় না। তাই দলের অভ্যন্তরীণ নির্দেশনা নিয়ে প্রবল সন্দেহ হচ্ছে - কোথাও কোন সাবোটেজ হচ্ছে কিনা, নইলে এমন পরাজয় কেন?

আমি এসব বিষয়ে এখানকার বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলি, তারা একমত পোষণ করলেও কাজের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন নেই। অথচ এখানকার বৃটিশ রাজনীতি কত চমৎকার। সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী দুটি দল একসাথে সরকার গঠন করলো। ডেভিড ক্যামেরুনের কনজারভেটিভ আর নিক ক্লেগের লিব ডেম (লিবারেল ডেমক্র্যাট) কখনই এক হওয়ার কথা নয়। বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ -জামাত সম্পর্কের মত অবস্থা ছিল। শেষ পর্যন্ত তারাই একত্রে সরকার গঠন করলো।

আসলে রাজনীতি যদি আবেগ দিয়ে করা হয়, তাহলে পদে পদে ধরা খেতে হবে। আর সঠিক হিসাব-নিকাশ করে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে পলিসি নির্ধারণ করা যায় তাহলে সবসময় উইন করা সম্ভব এবং প্রতিপক্ষকে ঠান্ডা মাথায় ঘায়েল করা সম্ভব।

এখন দেখা যাবে, জামাতের পাওয়ার জন্য বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচী দিতে পারে, যা তাদেরকে আরো এগিয়ে নিবে। জামাত নেতৃবৃন্দকে ধরার কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগেরও কিছু পলিসি নির্ধারণ করা দরকার।

যদিও অনেকের কাছে শুনতে খারাপ লাগবে তারপরও বলছি। আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধি বলছে, রিমান্ডে নেয়া জামাত নেতৃবৃন্দের উপর টর্চার না করে বরং যে কোন উপায়ে তাদের সাথে গোপন আফস-রফা করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া দরকার এবং দ্রুত রাজনৈতিক পরিস্থিতি সরকারের অনুকূলে নিয়ে আসার জোর চেষ্টা চালানো দরকার। আসলেই শত্রু কমানো ভালো এবং শত্রুদের মধ্যে যতই বিভেদ সৃষ্টি করা যায় ততই মঙ্গল।

http://www.sonarbangladesh.com/articles/ShabaAbdullah


পাঠকের মন্তব্য:
সাইপ্রাস থেকে মোস্তাক আহমদ লিখেছেন, ০৩ জুলাই ২০১০; সন্ধ্যা ০৭:১৩
আপনি দাবী করেছেন যে, আপনি আওয়ামিলীগ করেন। সত্যি বলতে কি, আপনার মত এমন লোক(ভাল) আওয়ামীলীগে নেই বলেই এমন অবস্হা।
24955
জেদ্দা সৌদআরব থেকে আবদুল কাদের লিখেছেন, ০৫ জুলাই ২০১০; রাত ১১:০৫
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।আপনার মত মুক্ত চিন্তার মানুষ আওয়ামী লীগে থাকলে অনেক আগেই ভাল হয়ে যেত ।
25408
সিলেট থেকে আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ০৭ জুলাই ২০১০; রাত ১১:৪১
আপনার মত লোক আওয়ামিলীগ করে কিভাবে?
25764
ঢাকা থেকে দুলাল লিখেছেন, ০৮ জুলাই ২০১০; সকাল ০৮:০৯
আপনি ঠিকই বলেছেন ,বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে একটি মহল নেত্রীকে এবং দলকে মিসগাইড করে দলের পরাজয়কে এগিয়ে দিচ্ছে। নইলে বিভিন্ন বার সহ সুপ্রিমকোর্ট বার কাউন্সিল নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকাবস্থায় পরাজয় হওয়া এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র মহিউদ্দিনের মত নেতার পরাজয় কোন সাধারণ ঘটনা নয়। জাতীয় সংসদে এত বড় বিজয়ের মাত্র ১৮ মাসের মাথায় দল জননেত্রীকে এভাবে হতাশ করবে তা কল্পনাও করা যায় না। তাই দলের অভ্যন্তরীণ নির্দেশনা নিয়ে প্রবল সন্দেহ হচ্ছে - কোথাও কোন সাবোটেজ হচ্ছে কিনা, নইলে এমন পরাজয় কেন''? আমার ধারনা গোপন সাবোটেজটা হচ্ছে পিনাকবাবুর দেশ ভারত থেকে।
25816

বাংলা (ইউনিকোডে) অথবা ইংরেজীতে আপনার মন্তব্য লিখুন:
কীবোর্ড

Bijoy       UniJoy       Phonetic (Help)       English

নাম:

স্থান:

ই-মেইল:
মন্তব্য:
 
 
লেখক পরিচিতি
 
 

 


© Sonar Bangladesh, 2002-2010. E-mail: editor@sonarbangladesh.com.
Alexa Certified Site Stats for sobarbangladesh.com



--
Palash Biswas
Pl Read:
http://nandigramunited-banga.blogspot.com/

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors