এই সময়: সম্ভাবনাছিলই৷মঙ্গলবারসেটাসত্যি হল৷দেশের২৩তমরিজার্ভব্যাঙ্কগভর্নরনির্বাচিতহলেনঅর্থমন্ত্রকেরমুখ্যউপদেষ্টারঘুরামরাজন৷আগামী ৪ সেপ্টেম্বর , রিজার্ভব্যাঙ্কগভর্নর পদে মেয়াদ শেষহচ্ছেদুব্বুরিসুব্বারাওয়ের৷সামনের তিন বছর সেই পদে আসীনথাকবেন বছর ৫০-এরঝকঝকেব্যক্তিত্বরঘুরামরাজন৷সুব্বারাওয়েরমেয়াদযেবাড়ানোহবে না, তাজানাইছিল৷আরবিআইগভর্নরেরদৌড়েএগিয়েছিলেনরঘুরামরাজন, অর্থনীতিবিষয়কসচিবঅরবিন্দমায়ারাম,যোজনাকমিশনেরসদস্যসৌমিত্রচৌধুরী৷রাজন ও মায়ারাম-দু'জনেইঅর্থমন্ত্রীচিদম্বরমেরঅত্যন্তঘনিষ্ঠ৷গত বছরঅগস্টেঅর্থমন্ত্রকেরমুখ্যউপদেষ্টাহিসেবেদায়িত্ব নেন আইএমএফ-ফেরতরাজন৷
২০১৩ -১৪ বর্ষের সাধারণ বাজেটের রূপরেখা রাজনের হাতেই তৈরি বলে দাবি৷ অন্যদিকে , অর্থনীতি বিষয়ক সচিব অরবিন্দ মায়ারাম অর্থমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী বলেই রাজধানীতে পরিচিত৷ ২০০৫ সালে আইএমএফের এক বক্তৃতায় আর্থিক ক্ষেত্রের মন্দা নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন রাজন৷ বলা হয় , ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক আর্থিক মন্দা সম্পর্কে সর্বাগ্রে ইঙ্গিত দেন আইআইটি ও আইআইএমের প্রাক্তনী রাজন৷ অর্থমন্ত্রকে কাজ করার আগে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলে সাম্মানিক পদে বহাল ছিলেন তিনি৷ কৌশিক বসুকে সরিয়ে অর্থমন্ত্রকের মুখ্য উপদেষ্টা হন৷ এদিন এক বিবৃতিতে সরকার জানিয়েছে, 'ড. ডি সুব্বারাওয়ের মেয়াদ ফুরোলে আগামী তিন বছরের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদে নিযুক্ত হবে ড. রঘুরাম রাজন৷ প্রধানমন্ত্রী এই নিয়োগপত্রে অনুমোদন দিয়েছেন৷'
এদিন সাংবাদিকদের কাছে রাজন বলেন ,' বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি৷ প্রতিকূলতাগুলিকে সামাল দিতে আরবিআই ও সরকার একযোগে কাজ করছে৷ আমার হাতে কোনও জাদুদণ্ড নেই , যে হঠাত্ করে সব সমস্যা উবে যাবে৷ তবে এটুকু বলতে পারি সেগুলি সমাধানের চেষ্টা আমি করব৷ 'সত্যি তো কী ভীষণ চ্যালেঞ্জের মুখে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি ! মঙ্গলবার বাঁধভাঙা পতন দেখায় টাকা৷ সব রেকর্ড ভাসিয়ে ৬১ .৮০ -তে পৌঁছে যায় ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম৷ অবশ্য রাজন আরবিআই গভর্নর নিযুক্ত হওয়ার ঘোষণায় রীতিমতো ঘুরে দ াঁড়ায় ফোরেক্স মার্কেট৷ পাশাপাশি , রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ডলার বিক্রি শুরু করে৷ তাতে ১০৩ পয়সা উঠে ৬০ .৭৭ -এ দাঁড়ায় টাকার বিনিময় দর৷ এপ্রিল থেকে টাকার বিনিময় দর পড়েছে ১৬ শতাংশ৷ পরিষেবা ক্ষেত্র খারাপ ফল করায় সেনসেক্স এদিন ৪৫০ পয়েন্ট পড়ে যায়৷ গতবর্ষে চলতি খাতের ঘাটতির অনুপাত জিডিপির ৪ .৮ শতাংশ বা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছে যায়৷
গত অগস্টে সংস্কারের ইনিংস শুরু করলেও মনমোহন -সরকারের ঝুলিতে বিদেশি বিনিয়োগের স্কোরকার্ড প্রায় শূন্য৷ পসকো , আর্সেলর -মিত্তলরা পাততাড়ি গোটানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ জুন -জুলাইতে দেশ থেকে ৬৬ হাজার কোটি টাকার বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ তুলে নেওয়া হয়েছে৷ এ অবস্থাতে টাকার দরকে স্থিতিশীল করা রাজনের পক্ষে সত্যিই চ্যালেঞ্জের৷ তার মধ্যে রয়েছ বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধির খাঁড়া৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে চলতি বর্ষে যতটা ভাবা হয়েছিল বৃদ্ধি তত হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ টাকার দর ক্রমাগত পড়তে থাকায় মূল্যবৃদ্ধি মাথা চাড়া দেওয়ার আশঙ্কাও থাকছে৷ এমন অবস্থায় বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধিতে এক অদ্ভুত ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে রাজনকে৷ কারণ চিদম্বরম জাতীয় বৃদ্ধির উপর জোর দেন৷ ঋণনীতি শিথিলের পক্ষে সওয়াল করেন৷ কিন্ত্ত টাকার দর , চলতি খাতের ঘাটতি ও মূল্যবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে রাজন সেই নীতি , বা সুদের হার কম রাখার দিকে কতটা হাঁটতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে৷ রাজন সাফ জানিয়েছেন কোনও জাদুদণ্ড নেই৷ সুব্বারাওয়ের হাতেও ছিল না৷ কিন্ত্ত বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধির টানাপোড়েনই চিদম্বরম -সুব্বারাওয়ের সংঘাতকে তীব্র করেছিল৷ যার জেরে সুব্বারাওয়ের মেয়াদ সম্প্রসারণের কথা ভাবাই হয়নি৷ বাজারের আশা , অর্থমন্ত্রী -গভর্নর বচসা যেন রাজনের মেয়াদকালে না থাকে৷
২০১৩ -১৪ বর্ষের সাধারণ বাজেটের রূপরেখা রাজনের হাতেই তৈরি বলে দাবি৷ অন্যদিকে , অর্থনীতি বিষয়ক সচিব অরবিন্দ মায়ারাম অর্থমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী বলেই রাজধানীতে পরিচিত৷ ২০০৫ সালে আইএমএফের এক বক্তৃতায় আর্থিক ক্ষেত্রের মন্দা নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন রাজন৷ বলা হয় , ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক আর্থিক মন্দা সম্পর্কে সর্বাগ্রে ইঙ্গিত দেন আইআইটি ও আইআইএমের প্রাক্তনী রাজন৷ অর্থমন্ত্রকে কাজ করার আগে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলে সাম্মানিক পদে বহাল ছিলেন তিনি৷ কৌশিক বসুকে সরিয়ে অর্থমন্ত্রকের মুখ্য উপদেষ্টা হন৷ এদিন এক বিবৃতিতে সরকার জানিয়েছে, 'ড. ডি সুব্বারাওয়ের মেয়াদ ফুরোলে আগামী তিন বছরের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদে নিযুক্ত হবে ড. রঘুরাম রাজন৷ প্রধানমন্ত্রী এই নিয়োগপত্রে অনুমোদন দিয়েছেন৷'
এদিন সাংবাদিকদের কাছে রাজন বলেন ,' বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি৷ প্রতিকূলতাগুলিকে সামাল দিতে আরবিআই ও সরকার একযোগে কাজ করছে৷ আমার হাতে কোনও জাদুদণ্ড নেই , যে হঠাত্ করে সব সমস্যা উবে যাবে৷ তবে এটুকু বলতে পারি সেগুলি সমাধানের চেষ্টা আমি করব৷ 'সত্যি তো কী ভীষণ চ্যালেঞ্জের মুখে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি ! মঙ্গলবার বাঁধভাঙা পতন দেখায় টাকা৷ সব রেকর্ড ভাসিয়ে ৬১ .৮০ -তে পৌঁছে যায় ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম৷ অবশ্য রাজন আরবিআই গভর্নর নিযুক্ত হওয়ার ঘোষণায় রীতিমতো ঘুরে দ াঁড়ায় ফোরেক্স মার্কেট৷ পাশাপাশি , রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ডলার বিক্রি শুরু করে৷ তাতে ১০৩ পয়সা উঠে ৬০ .৭৭ -এ দাঁড়ায় টাকার বিনিময় দর৷ এপ্রিল থেকে টাকার বিনিময় দর পড়েছে ১৬ শতাংশ৷ পরিষেবা ক্ষেত্র খারাপ ফল করায় সেনসেক্স এদিন ৪৫০ পয়েন্ট পড়ে যায়৷ গতবর্ষে চলতি খাতের ঘাটতির অনুপাত জিডিপির ৪ .৮ শতাংশ বা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছে যায়৷
গত অগস্টে সংস্কারের ইনিংস শুরু করলেও মনমোহন -সরকারের ঝুলিতে বিদেশি বিনিয়োগের স্কোরকার্ড প্রায় শূন্য৷ পসকো , আর্সেলর -মিত্তলরা পাততাড়ি গোটানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ জুন -জুলাইতে দেশ থেকে ৬৬ হাজার কোটি টাকার বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ তুলে নেওয়া হয়েছে৷ এ অবস্থাতে টাকার দরকে স্থিতিশীল করা রাজনের পক্ষে সত্যিই চ্যালেঞ্জের৷ তার মধ্যে রয়েছ বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধির খাঁড়া৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে চলতি বর্ষে যতটা ভাবা হয়েছিল বৃদ্ধি তত হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ টাকার দর ক্রমাগত পড়তে থাকায় মূল্যবৃদ্ধি মাথা চাড়া দেওয়ার আশঙ্কাও থাকছে৷ এমন অবস্থায় বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধিতে এক অদ্ভুত ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে রাজনকে৷ কারণ চিদম্বরম জাতীয় বৃদ্ধির উপর জোর দেন৷ ঋণনীতি শিথিলের পক্ষে সওয়াল করেন৷ কিন্ত্ত টাকার দর , চলতি খাতের ঘাটতি ও মূল্যবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে রাজন সেই নীতি , বা সুদের হার কম রাখার দিকে কতটা হাঁটতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে৷ রাজন সাফ জানিয়েছেন কোনও জাদুদণ্ড নেই৷ সুব্বারাওয়ের হাতেও ছিল না৷ কিন্ত্ত বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধির টানাপোড়েনই চিদম্বরম -সুব্বারাওয়ের সংঘাতকে তীব্র করেছিল৷ যার জেরে সুব্বারাওয়ের মেয়াদ সম্প্রসারণের কথা ভাবাই হয়নি৷ বাজারের আশা , অর্থমন্ত্রী -গভর্নর বচসা যেন রাজনের মেয়াদকালে না থাকে৷
No comments:
Post a Comment