Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Saturday, April 11, 2015

হিন্দু হিন্দু হুক্কা হুয়াঃ

হিন্দু হিন্দু হুক্কা হুয়াঃ 
এই বামুন নামক বৃত্তি জীবীরা কি হিন্দু? বহুকাল বামুনরা কিন্তু স্বীকারই করেনি যে তারা হিন্দু। মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব যখন হিন্দুদের উপর জিজিয়া কর ধার্য করেছিলেন তখন এই ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ে। ঐতিহাসিক ডিডি কোসাম্বীর মতে ব্রাহ্মনেরা দাবী করে যে তারা বীজিত হিন্দু নয়। কেননা অতীতে তারা এদেশের মূল নিবাসীদের উপর জয় লাভ করেছিল এবং মোগল রাজত্ব কালেও তারা নানা সম্মানীয় পদে সমাসীন। তারা কোন মতেই আরবীয় ভাষ্য অনুযায়ী "কালাআদমি" "গোলাম" বা চোর নয়। তারা আর্য। আর্যধর্মই তাদের মূল ধর্ম। এই সব প্রমান করার জন্য ব্রাহ্মনেরা দিস্তা দিস্তা দলিল প্রমান হিসেবে দাখিল করেছিল। এই ঘটনার পরে ব্রাহ্মনেরা জিজিয়া কর থেকে রেহাই পায়। এই ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করার কারণ হল এই ব্রাহ্মণদের সম্মিলিত সংগঠনই এখন হিন্দু হিন্দু হুক্কা হুয়া জুড়ে দিয়েছে। এর বহু কারণ রয়েছে। কেননা হিন্দুই একমাত্র সামাজিক টুল যার মধ্য দিয়ে বামুনেরা ৮৫% মানুষকে গোলাম বা শূদ্র বানিয়ে রাখতে পারে এবং এই সামাজিক শোষণকে ধর্ম নাম দিয়ে বংশপরম্পরায় গণ্ডে পিন্ডে গিলতে পারে। হিন্দু সামাজিক ব্যবস্থা ধ্বংস হলে ব্রাহ্মন্যবাদ ধ্বংস হয়ে যাবে তা তারা বিলক্ষণ জানে। তাই যেন তেন ভাবে হিন্দু ঠিকিয়ে রাখতে হবে। 
কিন্তু কী দিয়েছে এই হিন্দু? 
এই প্রসঙ্গে মাননীয় শরদিন্দু উদ্দীপন বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকে আমাদের একটি প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তিনটি গ্লাস নিয়ে তিনি যে পরীক্ষাটি আমাদের সামনে উপস্থিত করেছিলেন তার বর্ণনা দেওয়া হল। আশা রাখি এই পরীক্ষাটি থেকে এদেশের বামুনদের স্বভাব ও চরিত্র বুঝে নিতে আমাদের ভীষণ সুবিধা হবে। 
সরঞ্জাম হিসেবে তিনি ১) ৩টি কাচের গ্লাস ২) একটি চামচ ৩) এক টুকরো মাটি নিয়েছিলেন। ২টি গ্লাসে সুস্বাদু পানিয় জল নিয়ে তিনি আমাদের জানান যে এই জলই আমাদের সম্পদ। অন্য কোন তরল জলের স্থান নিতে পারেনা। এরপর তিনি দ্বিতীয় গ্লাসের মধ্যে মাটির ডেলাটি ফেলে দেন। মাটির ডেলাটি আস্তে আস্তে জলে গুলতে শুরু করে। একটি চামচ দিয়ে মাটির ডেলাটিকে ভাল করে জলের সাথে গুলে ফেলেন। সমস্ত গ্লাসের জল কাঁদাগোলা জলে পরিণত হয়। তিনি দেখান যে, মাটির মধ্যে থাকা আবর্জনা গ্লাসের উপরে ভেসে উঠেছে এবং মাটি একেবারে জলের সাথে গুলে মিশে গিয়েছে। গ্লাসটি তুলে ধরে তিনি একজন প্রতিনিধির কাছে দিয়ে সেটাকে খেতে বলেন। প্রতিনিধিটি এই কাদাগোলা জল খেতে অস্বীকার করে। তিনি জানান যে এটাই স্বাভাবিক যে এই জল খাওয়ার উপযুক্ত নয়। কিন্তু প্রথম গ্লাসের জল উপযুক্ত। কাঁদা গোলা জলের গ্লাসটি কিছুক্ষণ রাখার পরে দেখা যায় যে, গুলে যাওয়া কাঁদা গ্লাসের নিচে ধীরেধীরে জমা হচ্ছে এবং নোংরা জল উপরে দেখা যাচ্ছে। 
এরপর দ্বিতীয় গ্লাসটি হাতে নিয়ে তিনি জানান যে এই মাটির ডেলা হল সেই বিদেশী এজেন্ট যে নিজের নোংরা শরীর থেকে আবর্জনা সরানোর জন্য জলকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিছুটা সময় জলের সাথে মিশে গেছে আবার কাজ হাসিল করার পর নিজেকে আলাদা করে নিয়েছে। আর এই কাজের ফলে সুস্বাদু জীবনদায়ী জল দুষিত হয়ে গেছে। আমাদের দেশের ব্রাহ্মণ হল এই বহিরাগত মাটির ডেলা। যারা তাদের পাপ ধৌত করার জন্য আমাদের দেশ নামক স্বচ্ছ ক্ষেত্রে ঢুকে পড়েছে। ওদের পাপের আবর্জনা দিয়ে আমাদের জীবনটাকে ক্লেদাক্ত করে ফেলেছে। ওরা জানে যে আমাদের শ্রম ছাড়া ওরা গণ্ডেপিন্ডে গিলতে পারবে না। তাই আমাদের সাথে মিলে যাবার বাহানা করছে। কিন্তু কিছুতেই জাত বেজাতের গুমোর ছাড়তে পারছে না। এই হিন্দু হিন্দু হুক্কা হুয়া নিছকই এই বামনাদের বর্ণচোরা নাটক।

Nagraj Chandal's photo.
Nagraj Chandal's photo.
Nagraj Chandal's photo.
Nagraj Chandal's photo.

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors