Bangladeshi Media blasts the viral INDIAN SERIAL Inflicted Child Education Scenario!
-- শিশুদের শিক্ষা উপকরণেও ভারতীয় সিরিয়ালভারতীয় সিরিয়ালের নাম ও নায়ক-নায়িকাদের ছবি সম্বলিত শিশু শিক্ষা উপকরণে ছেয়ে গেছে গোটা পাবনা জেলা। দোকানগুলোতে নায়ক-নায়িকাদের রঙিন ছবি সম্বলিত এসব উপকরণ (খাতা) প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ অভিভাবকদের সচেতন করেও এসব খাতা ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে পারছে না শিক্ষার্থীদের।
এদিকে অভিভাবকরা বলছে তারা কোমলমতি শিশুদের এসব খাতা কিনে দিতে বাধ্য হচ্ছে। শহরের চেয়ে পাবনার গ্রামগুলোতে এর প্রভাব বেশি পড়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। প্রশাসনের উদাসিনতা এর জন্য দায়ী বলে মনে করেন তারা।
জেলার বিভিন্ন দোকান ও স্কুলগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত কিরণমালা, বোঝে না সে বোঝে না সিরিয়ালের পাখি, বধুবরণ, জলনূপুর, তোমায় আমায় মিলে, দিরা গমন, গৌরিদাস, বোমকেশসহ বিভিন্ন সিরিয়ালের নামকরণ এবং নায়িকাদের ছবি সম্মলিত খাতা দেদারছে দোকানগুলোতে বিক্রি ও শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে।
এব্যাপারে পাবনা সদর উপজেলার কলুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন পরাগ বলেন, কয়েকদিন আগে ৫ম শ্রেণীর আঁখি নামের এক ছাত্রীর কাছে এ ধরনের ৫টি খাতা পেয়ে আমরা জব্দ করেছি এবং এ ধরনের খাতা যেন কেউ ব্যবহার না করে সে ব্যাপারে স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিষেধ করেছি।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা এ ধরনের খাতা বাড়িতে ব্যবহার করছে। আমাদের নিষেধের কারণে তারা স্কুলে আনছে না বলে আমরা জানতে পেরেছি। এজন্য আমরা উঠান বৈঠকের মাধ্যমে অভিভাবকদের সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমার স্কুলের আশপাশের দোকানগুলোতে এধরনের খাতা বিক্রি থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিষেধ করেছি।
সদর উপজেলার কুঠিপাড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম সালাহ উদ্দিন জানান, আমার বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রীদের এ ধরনের খাতা ব্যবহার করছে। অভিভাবকদের বলে এবং স্কুল কমিটিকে বলেও এই খাতা ব্যবহার থেকে ছাত্রীদের বিরত রাখতে পারছেন না বলে তিনি অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে এসব বন্ধের জন্য মা সমাবেশ, অভিভাবক সমাবেশ ও উঠান বৈঠক করেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তিনি মনে করেন এই খাতা শুধু শিক্ষকদের পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়, এজন্য দরকার অভিভাবকের সচেতনা ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ।
এ বিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলার দেবত্তর গ্রামের আক্কাজ আলী জানান, আমার সন্তান একদিন স্কুল থেকে এসে পাখি খাতা কিনে দেয়ার জন্য বায়না ধরে। আমি তাকে নিয়ে একটি স্টেশনারির দোকানে গিয়ে দেখতে পাই ওই দোকানে জলনূপুর, কিরণমালাসহ বিভিন্ন ভারতীয় সিরিয়ালের নাম ও নায়ক নায়িকাদের রঙিন ছবি সম্বলিত খাতা। শিশুশিক্ষা উপকরণে এ ধরনে অশ্লিলতা দেখে আমি সন্তানকে খাতা কিনে দিতে না চাইলে সে স্কুলে যাবে না বলে জেদ ধরে। সন্তানের ক্ষতি হবে বুঝেও আমি বাধ্য হয়ে কিনে দেই।
এ ব্যাপারে আফরিনা আক্তার, কানিজ ফাতেমা ফাল্গুনী, সাঈদা পারভীনসহ কয়েকজন গৃহবধুর সাথে কথা হলে তারা বলেন, বাচ্চাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্নতারও আমাদের শেষ নাই। জেলা প্রশাসনকেই অশ্লিল খাতা বন্ধে দ্রুত এগিয়ে আসা উচিৎ। তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগকেই দায়ী করেন।
পাবনা শহরের কয়েকটি দোকনদারের সাথে কথা বললে তারা জানান, তারাও বোঝে; শিশুদের হাতে এ ধরনের খাতা তুলে দেয়া ঠিক হচ্ছে না। এমনকি উপজেলা পর্যায় থেকেও আমাদের পাইকারী ক্রেতারা এসব খাতার অর্ডার দিচ্ছে। তাই আমরা ব্যবসায়ীক স্বার্থেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
তারা অভিযোগ করেন, এগুলো ঢাকার দোয়া প্রডাক্টসসহ ঢাকা ও বগুড়ার কিছু বেনামী প্রেস থেকে এসব শিশুদের খাতা ছাপা হচ্ছে। যার কোন নাম কিংবা ঠিকানা খাতার পিছনে নেই।
এব্যাপারে পাবনার ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সালমা খাতুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি খোঁজ নিব। সত্যতা পাওয়া গেলে আমি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
Pl see my blogs;
Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!
No comments:
Post a Comment