লখনৌ, নয়াদিল্লি: আইএএস অফিসার দুর্গাশক্তি নাগপালের সাসপেনশন সংক্রান্ত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সুপ্রিমো সনিয়া গান্ধী৷ খবর, সরকারি জমিতে অবৈধ ভাবে নির্মীয়মাণ মসজিদের দেওয়াল ভাঙতে বলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই কাজ করেছিলেন দুর্গা৷
দুর্গা যাতে কোনও 'অন্যায়ের শিকার' না হন, তা দেখার জন্য চিঠিতে মনমোহনকে নির্দেশ দিয়েছেন সনিয়া৷ লিখেছেন,'সত্ আধিকারিকদের সুরক্ষার উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ দুর্গাশক্তি নাগপালের বিষয়টি বিশেষ ভাবে দেখা দরকার৷' উল্লেখ্য, ১ অগস্ট দুর্গার ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এসেছিলেন আইএএস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা৷ তাঁদের অভিযোগ, বালি-মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার 'শাস্তি' হিসেবেই দুর্গাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ একই দাবি বিএসপি-সহ উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলগুলির৷
অন্যদিকে, দুর্গার সাসপেনশনের পিছনে যে কারণ উত্তরপ্রদেশ সরকার দেখিয়েছিল, তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞ মহলের৷ ২০০৯-এ সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সরকারি পার্ক, রাস্তা বা জমিতে কোনও নতুন ধর্মীয় ভবন বানানো যাবে না৷ প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঝুঁকি সত্ত্বেও এই নির্দেশ পালন করতে হবে৷
উঠে এসেছে আরও কিছু রোমাঞ্চকর তথ্য৷ ২০১২-য় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যে কোনও খননকার্যের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের থেকে এনওসি সার্টিফিকেট নিতে হবে৷ কিন্ত্ত গত ডিসেম্বরে রাজ্যের খনি আইন সংশোধন করে অখিলেশের সরকার ঠিক করে, ইটভাঁটার প্রয়োজনে হাত দিয়ে দু'মিটার পর্যন্ত খননকার্যের ক্ষেত্রে কোনও এনওসি লাগবে না৷ উল্লেখ্য, নয়ডা এলাকায় দু'মিটার খুঁড়লেই প্রচুর বালি পাওয়া যায়৷ ফলে দারুণ সুবিধে হয়ে যায় এলাকার বালি মাফিয়াদের৷ খবর, খননকারী জেসিবি যন্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এনওসি-প্রথা বিলোপের জন্য ফের আইন সংশোধনী আনবে রাজ্য সরকার৷ কিন্ত্ত দুর্গাকে নিয়ে ডামাডোলের বাজারে আপাতত এ ব্যাপারে না এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অখিলেশরা৷
সরকারি রিপোর্টেও মিলেছে গরমিল৷ গ্রেটার নয়ডার জেলাশাসক জানিয়েছিলেন, মসজিদের দেওয়াল ভাঙার নির্দেশ দেননি দুর্গা, বরং গ্রামবাসীদের জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার পরই তাঁরা নির্মাণ শুরু করতে পারেন৷ কিন্ত্ত স্থানীয় গোয়েন্দা ইউনিট (এলআইইউ) রিপোর্ট বলছে, দেওয়াল ভাঙার সময় স্থানীয় পুলিশের সার্কল অফিসারের সঙ্গেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন দুর্গা৷ এর প্রতিবাদে নাকি সাম্প্রদায়িক হিংসাও ছড়াতে পারত৷ কিন্ত্ত আশ্চর্যের ব্যাপার, সংশ্লিষ্ট সার্কল অফিসারের বিরুদ্ধে সরকার কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি৷
পাশাপাশি, দুর্গা সম্পর্কে অভব্য মন্তব্য করার অভিযোগে সপা নেতা নরেন্দ্রর ভাটির বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে নালিশ জানিয়েছেন সমাজকর্মী নুতন ঠাকুর৷
র সাসপেনসন সংক্রান্ত ঘটনায় এবার হস্তক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র। শনিবার প্রাধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-কে চিঠি লিখে সনিয়া গান্ধী বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের এই আইএএস অফিসার যাতে সুবিচার পান তার ব্যবস্থা করা হোক।
ফাঁস হয়ে যাওয়াভিডিও তথ্য দেখে সপা নেতা তথা উত্তরপ্রদেশেরআগ্রোচেয়ারম্যাননরেন্দ্রভাটি-রবিরুদ্ধেআইনিব্যবস্থানিতেচলেছেনসমাজসেবীনূতনঠাকুর।জাতীয়মহিলাকমিশনেরকাছেনরেন্দ্রভাটিরবিরুদ্ধেঅভিযোগজানিয়ে চিঠি লিখেছেনতিনি।
চিঠিতে তাঁর বক্তব্য, তিনি এই ভিডিও দেখে আশ্চর্য হয়েছেন।ভিডিও-র মধ্যে বেশিরভাগ সংলাপই 'বিপ'- সমৃদ্ধ। অর্থাত্ অধিকাংশই অশ্লীল মন্তব্যে ভরা। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে 'আওরাত' ও 'বেহুদগি ' শব্দ দুটি। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে একজন মহিলা সম্পর্কে এমন অশ্লীল মন্তব্য করায় জাতীয় মহিলা কমিশনার মমতা শর্মার কাছে চিঠি লিখেছেন নূতন ঠাকুর। পাশাপাশি মমতা শর্মাকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
দুর্গা যাতে কোনও 'অন্যায়ের শিকার' না হন, তা দেখার জন্য চিঠিতে মনমোহনকে নির্দেশ দিয়েছেন সনিয়া৷ লিখেছেন,'সত্ আধিকারিকদের সুরক্ষার উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ দুর্গাশক্তি নাগপালের বিষয়টি বিশেষ ভাবে দেখা দরকার৷' উল্লেখ্য, ১ অগস্ট দুর্গার ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এসেছিলেন আইএএস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা৷ তাঁদের অভিযোগ, বালি-মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার 'শাস্তি' হিসেবেই দুর্গাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ একই দাবি বিএসপি-সহ উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলগুলির৷
অন্যদিকে, দুর্গার সাসপেনশনের পিছনে যে কারণ উত্তরপ্রদেশ সরকার দেখিয়েছিল, তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞ মহলের৷ ২০০৯-এ সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সরকারি পার্ক, রাস্তা বা জমিতে কোনও নতুন ধর্মীয় ভবন বানানো যাবে না৷ প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঝুঁকি সত্ত্বেও এই নির্দেশ পালন করতে হবে৷
উঠে এসেছে আরও কিছু রোমাঞ্চকর তথ্য৷ ২০১২-য় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যে কোনও খননকার্যের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের থেকে এনওসি সার্টিফিকেট নিতে হবে৷ কিন্ত্ত গত ডিসেম্বরে রাজ্যের খনি আইন সংশোধন করে অখিলেশের সরকার ঠিক করে, ইটভাঁটার প্রয়োজনে হাত দিয়ে দু'মিটার পর্যন্ত খননকার্যের ক্ষেত্রে কোনও এনওসি লাগবে না৷ উল্লেখ্য, নয়ডা এলাকায় দু'মিটার খুঁড়লেই প্রচুর বালি পাওয়া যায়৷ ফলে দারুণ সুবিধে হয়ে যায় এলাকার বালি মাফিয়াদের৷ খবর, খননকারী জেসিবি যন্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এনওসি-প্রথা বিলোপের জন্য ফের আইন সংশোধনী আনবে রাজ্য সরকার৷ কিন্ত্ত দুর্গাকে নিয়ে ডামাডোলের বাজারে আপাতত এ ব্যাপারে না এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অখিলেশরা৷
সরকারি রিপোর্টেও মিলেছে গরমিল৷ গ্রেটার নয়ডার জেলাশাসক জানিয়েছিলেন, মসজিদের দেওয়াল ভাঙার নির্দেশ দেননি দুর্গা, বরং গ্রামবাসীদের জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার পরই তাঁরা নির্মাণ শুরু করতে পারেন৷ কিন্ত্ত স্থানীয় গোয়েন্দা ইউনিট (এলআইইউ) রিপোর্ট বলছে, দেওয়াল ভাঙার সময় স্থানীয় পুলিশের সার্কল অফিসারের সঙ্গেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন দুর্গা৷ এর প্রতিবাদে নাকি সাম্প্রদায়িক হিংসাও ছড়াতে পারত৷ কিন্ত্ত আশ্চর্যের ব্যাপার, সংশ্লিষ্ট সার্কল অফিসারের বিরুদ্ধে সরকার কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি৷
পাশাপাশি, দুর্গা সম্পর্কে অভব্য মন্তব্য করার অভিযোগে সপা নেতা নরেন্দ্রর ভাটির বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে নালিশ জানিয়েছেন সমাজকর্মী নুতন ঠাকুর৷
র সাসপেনসন সংক্রান্ত ঘটনায় এবার হস্তক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র। শনিবার প্রাধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-কে চিঠি লিখে সনিয়া গান্ধী বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের এই আইএএস অফিসার যাতে সুবিচার পান তার ব্যবস্থা করা হোক।
ফাঁস হয়ে যাওয়াভিডিও তথ্য দেখে সপা নেতা তথা উত্তরপ্রদেশেরআগ্রোচেয়ারম্যাননরেন্দ্রভাটি-রবিরুদ্ধেআইনিব্যবস্থানিতেচলেছেনসমাজসেবীনূতনঠাকুর।জাতীয়মহিলাকমিশনেরকাছেনরেন্দ্রভাটিরবিরুদ্ধেঅভিযোগজানিয়ে চিঠি লিখেছেনতিনি।
চিঠিতে তাঁর বক্তব্য, তিনি এই ভিডিও দেখে আশ্চর্য হয়েছেন।ভিডিও-র মধ্যে বেশিরভাগ সংলাপই 'বিপ'- সমৃদ্ধ। অর্থাত্ অধিকাংশই অশ্লীল মন্তব্যে ভরা। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে 'আওরাত' ও 'বেহুদগি ' শব্দ দুটি। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে একজন মহিলা সম্পর্কে এমন অশ্লীল মন্তব্য করায় জাতীয় মহিলা কমিশনার মমতা শর্মার কাছে চিঠি লিখেছেন নূতন ঠাকুর। পাশাপাশি মমতা শর্মাকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment