Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Tuesday, November 18, 2014

মানববোমা বিস্ফোরণ নাগরিকত্ব মানে বিদেশি পুঁজি অবাধ উদ্বাস্তু,অশ্বেত,আদিবাসী,পিছিয়ে পড়া মানুষ ও ক্রয়শক্তিহীন অধিসংখ্য মানুষের নাগরিকত্ব শুধুই নির্বাচনী অন্কগণিত নাগরিক অধিকার মানেই একচেটিয়া করপোরেট আগ্রাসন,বেদখলি ও এথনিক ক্লিন্জিং মুক্তবাজারে মনুস্মৃতির গৌরিক সাম্রাজ্যে বৈদিকী সভ্যতায় নাগরিক শুধু শ্রেষ্ঠি সুজন পলাশ বিশ্বাস


নাগরিকত্ব মানে শাসকের অন্তর্বাস হয়ে জীবন যাপন বা ক্ষমতার রাজনীতিতে মানববোমা বিস্ফোরণ

নাগরিকত্ব মানে বিদেশি পুঁজি অবাধ

উদ্বাস্তু,অশ্বেত,আদিবাসী,পিছিয়ে পড়া মানুষ ও ক্রয়শক্তিহীন অধিসংখ্য মানুষের নাগরিকত্ব শুধুই নির্বাচনী অন্কগণিত

নাগরিক অধিকার মানেই একচেটিয়া করপোরেট আগ্রাসন,বেদখলি ও এথনিক ক্লিন্জিং

মুক্তবাজারে মনুস্মৃতির গৌরিক সাম্রাজ্যে বৈদিকী সভ্যতায় নাগরিক শুধু শ্রেষ্ঠি সুজন

পলাশ বিশ্বাস

মুক্তবাজারে মনুস্মৃতির গৌরিক সাম্রাজ্যে বৈদিকী সভ্যতায় নাগরিক শুধু শ্রেষ্ঠি সুজন৷নাগরিক তুমি যেই হও না কেন,তোমায় কোনো না কোনো পক্ষ নিয়েই বেঁচে বর্তে থেকে দুধে ভাতে থাক সন্তান মম,শাসকের এই ভুতের রাজার বর নিয়েই আধিপাত্যের অন্তর্বাস হয়ে থাকতে হবে৷


শাসক কখনো বিপ্লবী,কখনো বা সমাজবাদের জলজ্যান্ত মডেল,বা কখনো পরিবরিতনের কান্ডারি মা মাটির মানুষের কাটারি,বা কখনো ধর্ম নিরপেক্ষ অথবা ধর্মান্ধ গৌরিক বজরংবলি কি জয়- নবারুণদার ভাষা তাঁকেই সাজে,লেখা যায় না,কিন্তু যারা ফ্যাতাড়ুদের অন্ত্যজ ভাষা বোঝেন,নাগরিকত্ব হল তাই- বাঁ..কা..


অতএব শিরদাঁড়া থাক না থাক,ব্যাটা হার্বর্ট হয়ে তাকে ঝোলানো থাক তোর নাগরিকত্ব ,ভোট এলে সুবিধামত ছাপ্পা মেরে দিলেই নাগরিকত্বের জয় জয়কার যেহেতু আমরাই আমাদের নাগরিকত্বের অধিকার দিয়ে আমাদের বারোটা বাঁশের পুরো দস্তুর বন্দোবস্ত করে ফেলেছি৷

বাংলায় নাগরিকত্ব শুধু অস্পৃশ্য বাপে তাডা়নো মায়ে খেদানো খালে বিলে জলে জঙ্গলে বেনাগরিক বাংলাদেশি মার্কা মারা বিতাড়নের জন্য সারা দেশে,সমস্ত জনপদে চিনি্হত অন্ত্যজ মানুষদের মাথাব্যাথা৷যেহেতু উচ্চবর্ণের ভদ্রনোকের নাগরিকত্ব তো বাড়ি উঠানে খুঁটিকতে বাঁধা দুধালু গাই৷দুধ ছাড়তে পারলে ঘী মাখন সবই হচ্চে,যেমন কোলকাতাতে বা শহর তলিতে জেলায় জেলায় সীমান্তের এপার ওপার যাদের বাড় বাড়ন্ত বহুলত আকাশ পাতাল,তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছেনা৷

এবং তাঁদের স্বার্থেই রাজনীতি এখন ধর্মনিরপেক্ষ অথবা ধর্মান্ধ৷ চাঁদমারিতে অঘোরে প্রাণ দোওয়ার আগে জিতনেওয়ালা পক্ষের অন্তর্বাসই বেঁচে বর্তে থাকার পাসপোর্ট আর বাংলার বাইরে ঔ উচ্চ বর্ণ বা ভদ্দরনোক ছাড়া সব ব্যাাটা বেটিই ত তফশিলি,যাদের খেদাতেই এই ভারত ভাগ,সে বাঙাল হিন্দু সমাজের তলানি বাঁচুক মরুক,বাংলার কিচ্ছু আসে যায় না৷



সারা বিশ্বে ক্ষমতার রাজনীতি,একচেটিয়া জায়নি করপোরেট আক্রমণ এখনো সেই মরুঝ়ড়,ইরাকের সীমান্ত ছাড়িয়ে দশ দিগন্তে গ্লোবাল হিন্দুত্ব ও বৈশ্বিক জায়নবাদী মনুস্মৃতি শাসনের তেল যুদ্ধ৷


শাসকের অন্তর্বাস যদি না হও,তাহলে মানববোমাই তোমার শেষ পরিচিতি,তোমারে যেখানে সেখানে ফাটিয়ে মারবে ওরা৷


সংখ্যালঘু ধার্মিক ভাষিক যাই হোক সে শাসকের অন্তর্বাস অথবা সেই মানববোমা যা নিয়ে সর্বত্রই শাকের ক্ষমতার রাজনীতি,বাংলায় যা দ্যাখতাছি৤


বৌদ্ধ ঐতিহ্যের প্রগতিবাদী বাংলা দখল করা গৌরিক সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রাথমিকতা ,অথচ অনার্য অসুর পূর্ব,পূর্বোত্তর,দন্ডাকারণ্য,দক্ষিণাত্যের ও দেবভূমির জনগোষ্ঠিসমূহ শ্বেত শাসক আর্য হিন্দুদের ক্ষমতা কেন্দ্রে নজরে শুধুই উপনিবেশ ,যেমন গোটা ভারতবর্ষই মার্কিন উপনিবেশ৷



বাঙালি জেনেও বুঝতে চায়না শাসক ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক চোখে অনার্য ভূগোলের সবাই সমান বধ্য.যেমন ব্রাহ্মণ রাবণ রামের বধ্য ছিলেন তেমনিই গোটা পূর্ব,পূর্ব ভারত,দন্ডকারণ্য,দক্ষিণাত্য ও হিমালয়ের মানুষ এই সংস্কার রাজসূয়ে বলি প্রদত্ত,এবং তাঁদের একই খোঁযাড়ে যারা জড়ো করছেন ব্রাহ্মণ হলেও তাঁরা শূদ্রে শামিল ,যেহেতু তাঁরা বাঙালি৷


যে কারণে নেতাজি বিতাড়িত হলেন, যে কারণে জ্যোতিবাবুকে মলয়ালি বাঙালি কমরেডরা প্রধানমন্ত্রী হতে দিল না ,ঠিক সেই কারণেই বাঙালির নাগরিকত্ব নিষিদ্ধ,বাংলার বাইরে বাংলায় কথা বলা অপরাধ৷


পয়সাওয়ালাদের মুক্ত বাজারে রমরমা থাকছেই৷


ভদ্দরনোক চিরদিনই ভদ্দরনোক৷কিন্তু অন্ত্যজ নমো,পোঁদ,মালো ও অন্নান্যপিছড়ে তবকার মানুষজন যারা সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে স্বাধূনতার বলি,বাংলার চাইতেও বড় বাংলা,তাঁরা বাঙালি না হতে পারে মানুষ ত বটেই৷


বাংলায় সর্বক্ষেত্রে শাসকের একচেটিয়া আধিপাত্যের এই মরিচঝাঁপি সংস্কৃতিতে শিখ পান্জাবি বা সিন্ধিদের মত বাঙালিরা কস্মিন কালে বাঙালি হয়ে প্রতিবাদ করতে শিখবে,প্রত্যাশা করাটাই বোধ হয় ফ্যাতাড়ু বোম্বাচাক৷


বাঙালিরা ,পূর্ব ও পূর্বোত্তরের,অনার্য অসুর ভারতের ভূগোল, জাতি ধর্ম নির্বিশেষ একজোট হলে ইতিহাস অন্যরকম লেখা হত৷


অথচ রাজনীতির অর্থ সুধুই ধর্ম বা ধর্মনিরপেক্ষতা,নাগরিকত্ব বা নাগরিক মানবাধিকার নয়৷


এই আলোকেই বুঝতে হবে, রাজ্যে বিজেপি-র উত্থানে তিনি এমনিতেই চাপে৷ রাজধানীতে তাই ধর্মনিরপেক্ষ জোটের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাত্‍পর্যপূর্ণ ভাবে সেই জোটে কংগ্রেস তো থাকবেই, এমনকী বামেদের নিয়ে চলতেও তাঁর কোনও আপত্তি নেই৷


যে বামেদের উত্খাত করেই দিদির রাজ্যজয়,এবং মীডিয়ায় সুশীল সমাজে যারা পরিবর্তনের ঝড় তুলে বাম বিদায় নিশ্চিত করেছিল.তাঁরাই আজ পান্চজন্য় হয়ে দশ দিশায কমল চাষেরা ডাক ছাড়ছেন যে কখন গৌরিক ষাঁড়ের সাড়া মিলবে৷


মমতা চান, ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে বৃহত্তর বিজেপি-বিরোধী জোট, যেখানে সব দল একজোট হবে৷ তবে কারা সেই জোটে থাকবেন তা স্পষ্ট নয়৷


বামেরা বলেছেন, তাঁরা নেই৷অথচ বামের হামেশা তাহাই করেন যাহা তাহাদের সুমিধার মতাদর্শ৷সারা দেশে,এই বাংলাতেও বামেদের বারোটা এমনি এমনি ত বাজে নাই৷


মুলায়ম, মায়াবতীরা থাকবেন কি না, সংশয় রয়েছে৷ কংগ্রেস এবং লালু, নীতীশ, শরদ যাদবরাই জোট নিয়ে বেশি উত্‍সাহী৷



নাগরিকত্ব মানে শাসকের অন্তর্বাস হয়ে জীবন যাপন বা ক্ষমতার রাজনীতিতে মানববোমা বিস্ফোরণ৷পরে আবার খোলসা করে লিখব৷

নাগরিকত্ব মানে বিদেশি পুঁজি অবাধ,উদ্বাস্তু,অশ্বেত,আদিবাসী,পিছিয়ে পড়া মানুষ ও ক্রয়শক্তিহীন অধিসংখ্য মানুষের নাগরিকত্ব শুধুই নির্বাচনী অন্কগণিত


নাগরিক অধিকার মানেই একচেটিয়া করপোরেট আগ্রাসন,বেদখলি ও এথনিক ক্লিন্জিং


No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors