Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Saturday, May 16, 2015

Saradindu Uddipan ভাঙ্গুন এই কদাচারের পরম্পরাঃ


ভাঙ্গুন এই কদাচারের পরম্পরাঃ

Saradindu Uddipan's photo.
Saradindu Uddipan's photo.
Saradindu Uddipan's photo.
Saradindu Uddipan's photo.
ভাঙ্গুন এই কদাচারের পরম্পরাঃ 
সম্ভবত উমা চরণের সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব দিয়ে শুরু হয়েছিল হরিচাঁদের বংশে এক কদাচারের ইতিহাস। কিন্তু তা স্থায়ী ভাবে নিষ্পত্তি করে দিয়েছিলেন হরিচাঁদ। মৃত্যুর আগে হরিচাঁদ তার মতুয়া ধর্ম এবং সংঘ শক্তির সমস্ত দায়িত্বই গুরুচাঁদের হাতে দিয়ে পরিষ্কার ঘোষণা করেন যে, কুলঙ্গারদের জন্য সংঘে কোন জায়গা নেই। গুরুচাঁদ জীবিত থাকা অবস্থাতেই কিন্তু এই কদাচার আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বিশেষ করে বড় ছেলে শশিভূষণের পরিবর্তে মেজছেলে সুধন্যকে গদির দায়িত্ব দিলে ঠাকুর বাড়ির অন্দরে একটি ক্ষোভ জমা হতে শুরু করে। সেটা তেমন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি গুরুচাঁদের কঠোর কঠিন চারিত্রিক দৃঢ়তা, সংঘ শক্তি, হাতের লাঠির (ধর্ম দন্ড) জোরে। কিন্তু গুরুচাঁদের মৃত্যুর পরে থেকেই কুলঙ্গারশক্তি অর্থ, সম্পত্তি ও ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে আরম্ভ করে। এদের মধ্যে পি আর ঠাকুর ছিলেন অন্যতম। যিনি ওড়াকান্দির জমির একটি অংশ (মূল মন্দির এবং গদিঘর সহ) প্রভাবশালী এক মুসলিম ব্যক্তির হাতে বিক্রি করে দেন এবং রামদিয়াতে জমি কিনে ঠাকুরালী শুরু করতে চান।
প্রয়াত কপিল ঠাকুর এবং মঞ্জুল ঠাকুর এই পি আর ঠাকুরের সন্তান। গুরুচাঁদের যে শিক্ষা আন্দোলন সমাজেকে হাজার হাজার IS, IPS, WBCS, প্রফেসর, অফিসার দিয়েছে, সেখানে তারই বংশে জন্ম নিচ্ছে শুধু মাত্র মতুয়াদের প্রনামীর উপর নির্ভরশীল পেটডলা গোসাই! এরা বুঝে নিয়েছে যে মতুয়ারা এদের আজন্ম গোলাম। তারা নিজে না খেলেও ঠাকুরদের ভুরিভোজ এরা জোগাড় করবেই। 
ওরা বুঝে নিয়েছে যে মতুয়া মহাসংঘের প্রধান পদটিতে থাকতে পারলে সংঘের অর্জিত কোটি কোটি টাকা এরা পারিবারিক কাজে লাগাতে পারবে। গদিতে বসতে পারলে এই ব্যবস্থা সুরক্ষিত এবং দীঘস্থায়ী হবে। 
ওরা বুঝে নিয়েছে যে মতুয়া শক্তি সঙ্গে থাকলে যে কোন রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী করার জন্য মতুয়া মায়ের পদধুলি নিতে আসবে। তা সে মতুয়া মতাদর্শের বিরোধী হোক বা চরম শত্রু হোক। 
ওরা বুঝে নিয়েছে যে মতুয়াদের আজ এই হাটে কাল ওই হাটে বিক্রি করা যায়। প্রয়োজনে হাড়িকাঠে বলি দেওয়া যায়। 
মতুয়া সমাজের মরণ ব্যাধিঃ 
এই ব্যাধির প্রকোপ শুরু হয় গুরু চাঁদের মৃত্যুর পর। 
এই ব্যাধির আঁতুড় ঘর তাই দুই দেশের দুই ঠাকুর বাড়ি। 
নিজেদের বংশকে মৈথিলী বামুন দেখাতে গিয়ে এরা এক হাস্যকর উপাদান খাড়া করেছে। তাত্ত্বিক ভাবে যা এই বংশের মর্যাদাকে ক্ষেত্রজ হিসেবে প্রতিপন্ন করেছে। 
শুধু নিজেদের বংশ নয় এরা মহান চন্ডাল সমাজের ইতিহাস বিকৃত করেছে এবং গোটা সমাজকেই কলুষিত করেছে।
একটি বেদাতীত পরম্পরাকে বামুনের ছাঁচে ঢালতে গিয়ে সামাজিক এবং মানবিক আন্দোলনকে ব্রাহ্মন্যবাদী স্রোতের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
আর এই ব্রাহ্মণ্যবাদী নেশায় বুদ হয়ে এরা বাবা সাহেব ডঃ বি আর আম্বেদকরের সার্বিক মুক্তির আন্দোলন থেকে মতুয়াদের সরিয়ে রেখেছে। এটা গোটা দলিত, নিষ্পেষিত সমাজের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। 
আমাদের করনীয়ঃ 
গুরুচাঁদ থাকলে এই বেইমানদের সংঘ থেকে বের করে দিতেন। যে ভাবে তিনি শশিভূষণকে বের করে দিয়েছিলেন। 
গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে যোগ্যতর ব্যক্তিকে সংঘের প্রধান নিয়োগ করতে হবে। 
সংঘের অর্জিত তহবিল যেন কোন ভাবে বেইমানদের পেটে না যায় তা সুরক্ষিত করতে হবে। 
অর্জিত অর্থ দিয়ে শিক্ষা কেন্দ্র, চিকিৎসালয় এবং জনকল্যাণে ব্যয় করেতে হবে। 
প্রত্যেক গোঁসাইয়ের জন্য একটি প্রচার গাড়ি করা যেতে পারে এই টাকার অংশ থেকে। 
নিরক্ষর কুসংস্কারাচ্ছন্ন পাগোল, গোঁসাইয়ের পরিবর্তে সুশিক্ষিত গোঁসাই ঘরানা তৈরি করতে হবে। যারা সম্মানের সাথে জনকল্যাণকারী কাজে অংশ গ্রহণ করতে পারে। 
সংগঠনকে সরকারের সমান্তরাল সংগঠনে পরিণত করতে হবে। যাতে আমাদের উৎসাহিত হয়ে ছেলেমেয়েরা এই ঘরানায় যোগ দিতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় কাজে দক্ষ হয়ে ওঠে। 
মতুয়া আন্দোলনকে যুগ উপযোগী করে না তুলতে পারলে একটি সংগঠন একটি পরিবারের সম্পদ হতে বাধ্য। আগামী প্রজন্মের স্বার্থে আপনাদের মতামত চাইছি।
জয় হরিচাঁদ

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors