গৌতম হোড়
নয়াদিল্লি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনওভাবেই চটাতে চান না বলে , পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আর সোচ্চার হচ্ছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে গোর্খাল্যান্ডের দাবি সমর্থন করেছিল বিজেপি৷ বিনিময়ে দার্জিলিঙ আসনে প্রার্থী হয়ে জনমুক্তি মোর্চার সমর্থনে জিতে আসেন যশবন্ত সিং৷ তিনি এখনও দার্জিলিঙের সাংসদ৷ ব্যক্তিগতভাবে যশবন্ত গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থনের কথা বলছেন , হয়তো পরেও বলবেন৷ কিন্ত্ত এ ব্যাপারে দল তাঁর সঙ্গে নেই৷ সম্প্রতি আরএসএস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির সভাপতি রাজনাথ সিং , অরুণ জেটলি, নরেন্দ্র মোদীরা৷
সেখানে তেলেঙ্গানা ও তার পরে যে সব ছোট রাজ্যের দাবি উঠেছে তা নিয়ে বিজেপির মনোভাব চড়ান্ত করার প্রসঙ্গ আসে৷ সেখানেই রাজনাথরা স্পষ্টভাবে আরএসএস নেতাদের জানিয়ে দেন , তাঁরা কিছুতেই প্রকাশ্যে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করবেন না৷ করলে মমতা ক্ষুব্ধ হবেন৷ আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হন এমন কোনও কাজ করা হবে না৷ লোকসভা ভোট-পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থনের কথা ভেবেই তৃণমূল নেত্রীর গুডবুকে থাকতে চাইছে বিজেপি৷ কিছুদিন আগে হাওড়ার উপনির্বাচনে প্রার্থী প্রত্যাহার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করেছিলেন রাজনাথ৷ গোর্খাল্যান্ড নিয়েও তাঁর মনোভাবে তৃণমূল নেত্রী স্বস্তিতে থাকবেন৷ আরএসএসের অবশ্য সামান্য আপত্তি ছিল মমতার সংখ্যালঘু-ঘেঁষা কথাবার্তা নিয়ে৷ কিন্ত্ত রাজনাথরা তাঁদের জানান , এটা চিন্তার কোনও বিষয় নয়৷ তৃণমূল নেত্রী সংখ্যালঘুদের অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করছেন৷ তাই সংখ্যালঘুরাও কংগ্রেস বা বাম নয়, তৃণমূলকেই সমর্থন করছে৷ তৃণমূলের জয় মানে বাম ও কংগ্রেসের পরাজয়৷ সেটাই চায় বিজেপি৷ তবে ঠিক হয়েছে , যেহেতু গত লোকসভা নির্বাচনের আগে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করা হয়েছিল, তাই সরাসরি হয়তো এর বিরোধিতা করা হবে না৷
কিন্ত্ত প্রকাশ্যে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হবে না যাতে মমতা রুষ্ট হন৷ গোর্খা নেতারা দেখা করতে চাইলে রাজনাথরা দেখাও করবেন৷ এর বেশি কিছু নয়৷ বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন শনিবার বলেন , 'গোর্খা নেতারা এখনও রাজনাথ বা দলের কোনও শীর্ষ নেতার সঙ্গে দেখা করতে চাননি৷ চাইলে রাজনাথরা অবশ্যই দেখা করবেন৷ ' অন্য দিকে নতুন রাজ্যের ব্যাপারে দলের নীতি হল , রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করা হোক৷ তারাই এই দাবি বিবেচনা করবে৷ এনডিএ আমলে এই কমিশনের দাবি উড়িয়ে দেন আদবানি৷ এখন তারাই সেই কমিশন বানাতে বলছে৷ গোর্খাল্যান্ডের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকলেও বড়োল্যান্ড ও কার্বি রাজ্যের দাবিকে কিন্ত্ত সমর্থন করছে বিজেপি৷ বড়োদের সমর্থন করার কারণ , আরএসএস মনে করে সেখানে সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশ থেকে এসে ক্রমশ নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় পৌঁছে গিয়েছে৷ জমির সিংহভাগ তাদের দখলে৷ বড়োরা এখন নিজভূমেই সংখ্যালঘু৷ কার্বির ক্ষেত্রেও তাই৷ বৈঠকে স্থির হয়েছে , আন্দোলনরত বড়ো ও কার্বিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে৷ দার্জিলিংয়ের ঠিক উল্টো ব্যাপার হয়েছে বিদর্ভের ক্ষেত্রে৷ বিদর্ভ পৃথক করার দাবি বিজেপি সমর্থন করে৷ আরএসএস -এরও এতে আপত্তি নেই৷ কিন্ত্ত জোটসঙ্গী শিবসেনা এর তীব্র বিরোধী৷ তাই বিজেপি বিদর্ভের সমর্থনে কিছু বলতে পারছে না৷ ফলে ছোট রাজ্যের দাবি নিয়ে খুব সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে৷
নয়াদিল্লি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনওভাবেই চটাতে চান না বলে , পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আর সোচ্চার হচ্ছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে গোর্খাল্যান্ডের দাবি সমর্থন করেছিল বিজেপি৷ বিনিময়ে দার্জিলিঙ আসনে প্রার্থী হয়ে জনমুক্তি মোর্চার সমর্থনে জিতে আসেন যশবন্ত সিং৷ তিনি এখনও দার্জিলিঙের সাংসদ৷ ব্যক্তিগতভাবে যশবন্ত গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থনের কথা বলছেন , হয়তো পরেও বলবেন৷ কিন্ত্ত এ ব্যাপারে দল তাঁর সঙ্গে নেই৷ সম্প্রতি আরএসএস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির সভাপতি রাজনাথ সিং , অরুণ জেটলি, নরেন্দ্র মোদীরা৷
সেখানে তেলেঙ্গানা ও তার পরে যে সব ছোট রাজ্যের দাবি উঠেছে তা নিয়ে বিজেপির মনোভাব চড়ান্ত করার প্রসঙ্গ আসে৷ সেখানেই রাজনাথরা স্পষ্টভাবে আরএসএস নেতাদের জানিয়ে দেন , তাঁরা কিছুতেই প্রকাশ্যে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করবেন না৷ করলে মমতা ক্ষুব্ধ হবেন৷ আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হন এমন কোনও কাজ করা হবে না৷ লোকসভা ভোট-পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থনের কথা ভেবেই তৃণমূল নেত্রীর গুডবুকে থাকতে চাইছে বিজেপি৷ কিছুদিন আগে হাওড়ার উপনির্বাচনে প্রার্থী প্রত্যাহার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করেছিলেন রাজনাথ৷ গোর্খাল্যান্ড নিয়েও তাঁর মনোভাবে তৃণমূল নেত্রী স্বস্তিতে থাকবেন৷ আরএসএসের অবশ্য সামান্য আপত্তি ছিল মমতার সংখ্যালঘু-ঘেঁষা কথাবার্তা নিয়ে৷ কিন্ত্ত রাজনাথরা তাঁদের জানান , এটা চিন্তার কোনও বিষয় নয়৷ তৃণমূল নেত্রী সংখ্যালঘুদের অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করছেন৷ তাই সংখ্যালঘুরাও কংগ্রেস বা বাম নয়, তৃণমূলকেই সমর্থন করছে৷ তৃণমূলের জয় মানে বাম ও কংগ্রেসের পরাজয়৷ সেটাই চায় বিজেপি৷ তবে ঠিক হয়েছে , যেহেতু গত লোকসভা নির্বাচনের আগে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করা হয়েছিল, তাই সরাসরি হয়তো এর বিরোধিতা করা হবে না৷
কিন্ত্ত প্রকাশ্যে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হবে না যাতে মমতা রুষ্ট হন৷ গোর্খা নেতারা দেখা করতে চাইলে রাজনাথরা দেখাও করবেন৷ এর বেশি কিছু নয়৷ বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন শনিবার বলেন , 'গোর্খা নেতারা এখনও রাজনাথ বা দলের কোনও শীর্ষ নেতার সঙ্গে দেখা করতে চাননি৷ চাইলে রাজনাথরা অবশ্যই দেখা করবেন৷ ' অন্য দিকে নতুন রাজ্যের ব্যাপারে দলের নীতি হল , রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করা হোক৷ তারাই এই দাবি বিবেচনা করবে৷ এনডিএ আমলে এই কমিশনের দাবি উড়িয়ে দেন আদবানি৷ এখন তারাই সেই কমিশন বানাতে বলছে৷ গোর্খাল্যান্ডের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকলেও বড়োল্যান্ড ও কার্বি রাজ্যের দাবিকে কিন্ত্ত সমর্থন করছে বিজেপি৷ বড়োদের সমর্থন করার কারণ , আরএসএস মনে করে সেখানে সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশ থেকে এসে ক্রমশ নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় পৌঁছে গিয়েছে৷ জমির সিংহভাগ তাদের দখলে৷ বড়োরা এখন নিজভূমেই সংখ্যালঘু৷ কার্বির ক্ষেত্রেও তাই৷ বৈঠকে স্থির হয়েছে , আন্দোলনরত বড়ো ও কার্বিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে৷ দার্জিলিংয়ের ঠিক উল্টো ব্যাপার হয়েছে বিদর্ভের ক্ষেত্রে৷ বিদর্ভ পৃথক করার দাবি বিজেপি সমর্থন করে৷ আরএসএস -এরও এতে আপত্তি নেই৷ কিন্ত্ত জোটসঙ্গী শিবসেনা এর তীব্র বিরোধী৷ তাই বিজেপি বিদর্ভের সমর্থনে কিছু বলতে পারছে না৷ ফলে ছোট রাজ্যের দাবি নিয়ে খুব সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে৷
No comments:
Post a Comment