Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Saturday, December 27, 2014

নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা and ধর্মান্তর নিয়ে বিশ্বাস ও কর্তব্যের দোলাচলে মোদি--Prothom Alo--Pl read

নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয়

ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা

আপডেট: ০০:০৪, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী সমর্থকদের বিভাজনের রাজনীতির লাগাম টেনে ধরবেন—এমন আশাবাদ তিরোহিত হওয়ার ঝুঁকির মুখে। ফলে তিনি অর্থনৈতিক সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মন দেবেন, সে আশাও করা যাচ্ছে না। এর দায় সরাসরি মোদির ওপরেই বর্তায়।
গত মঙ্গলবার শেষ হওয়া ভারতের লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নের কাজই যথাযথভাবে করা যায়নি। সে অধিবেশন বারবার মুলতবির কারণে এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন স্থানে উগ্র হিন্দু গোষ্ঠীগুলো খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের হিন্দুধর্মে ধর্মান্তরিত করেছে। এ বিষয়টি নিয়ে সংসদে ব্যাপক শোরগোল হয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ 'ঘরে ফেরা' প্রচারণা শুরু করার পর বিষয়টি সংকটের পর্যায়ে পৌঁছে। এসব গোষ্ঠী ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানাতে চায়। তারা খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের পুনর্ধর্মান্তরিত করতে চায়।
সম্প্রতি ভারতের আগ্রা এবং গুজরাট ও কেরালা রাজ্যের কিছু জায়গায় উগ্র হিন্দু গোষ্ঠী কিছুসংখ্যক মুসলমান ও খ্রিষ্টানকে হিন্দু বানিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তাদের একাধারে ভয় ও লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। ভয়ভীতি যেমন দেখানো হয়েছে, তেমনি
তাদের খাদ্য ও রেশন কার্ড দেওয়া হবে—এমন লোভও দেখানো হয়েছে। পুলিশ এসব অভিযোগের তদন্ত করছে। খ্রিষ্টান ও তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেড়ে গেছে। ১ ডিসেম্বর দিল্লির সবচেয়ে বড় গির্জাগুলোর একটি আগুনে পুড়ে যায়। গির্জাটিতে আগুন লাগানো হয়েছিল বলেই অভিযোগ। আর ১২ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে ক্রিসমাসের গান গেয়ে বাড়ি ফেরার পথে মানুষের ওপর হামলা করা হয়েছে।
ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশের বেশিই হচ্ছে হিন্দু। কিন্তু সেখানে মুসলমান, খ্রিষ্টান ও শিখেরাও ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে তাদের শত শত বছরের ইতিহাস রয়েছে। দেশটির সংবিধান ধর্মীয় বহুত্ববাদ ও স্বাধীনতার সুরক্ষা দিয়েছে। ভারতে ধর্মান্তরকরণের ব্যাপারটা বিরোধপূর্ণ বিষয়। বহু দলিত (যাদের আগে অস্পৃশ্য বলা হতো), অন্য নিম্নবর্ণের হিন্দু ও আদিবাসী স্বীকার করে, তারা মূলত বর্ণপ্রথার দহন জ্বালা ও নিপীড়ন সইতে না পেরে ইসলাম বা খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছে। ভারতের সংবিধানের প্রধান রূপকার ড. ভিমরাও রামজি আম্বেদকার দলিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি হিন্দুধর্মের বর্ণপ্রথার নিপীড়ন থেকে রেহাই পেতে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা যেমনটি দাবি করছেন, মোদির উচিত চাঙা হয়ে ওঠা হিন্দুত্ববাদীদের প্রতি নীরবতা ভেঙে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের কার্যকলাপ অর্থৈনতিক সংস্কারের পথে আরও অগ্রগতিকে গৌণ করে দিয়ে রাজনীতি ও বিভেদকে মুখ্য করে তোলার আগেই মোদিকে তা করতে হবে।
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত

দিল্লির চিঠি

ধর্মান্তর নিয়ে বিশ্বাস ও কর্তব্যের দোলাচলে মোদি

সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় | আপডেট: ০০:০৫, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ
নরেন্দ্র মোদি
দিল্লির আর্চবিশপ অনিল জে টি কাউটো ২৪ ডিসেম্বর িখ্রষ্টান সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রদেশে খ্রিষ্টান ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজনকে যেভাবে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে, তাতে তাঁরা খুবই উদ্বিগ্ন। তাঁরা বলেন, বেশ কিছু উগ্র হিন্দু সংগঠন ধর্মান্তরকরণের এই কর্মসূচির নাম দিয়েছেন 'ঘর ওয়াপসি' বা ঘরে ফেরা। গরিব মানুষদের তারা হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনছে নানা প্রলোভন দেখিয়ে। এর ফলে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে তাঁরা বলেন, পরিস্থিতি না হলে হাতের বাইরে চলে যাবে।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী কী বলেছিলেন, আর্চবিশপ তা পরে সাংবাদিকদের জানান। তাঁর কথায়, নরেন্দ্র মোদি তাঁদের বলেন, ধর্মান্তরকরণের এ বিষয়টি মিডিয়ার সৃষ্টি। মিডিয়াই এটাকে ফুলিয়ে–ফাঁপিয়ে দেখাচ্ছে। তাঁর পরামর্শ, এটাকে এত সিরিয়াসলি নেবেন না।
ধর্মান্তরকরণ নিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী যে কথা বললেন, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ সপ্তাহে রাজ্যসভায় তা বললে সংসদের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটত না। বিমা, কয়লার ব্লক বণ্টন বা অভিন্ন বিক্রয় কর বিলগুলোও পাস হয়ে অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে অনেকটা এগিয়ে যাওয়া যেত। কিন্তু তা তিনি করেননি। বিবৃতি দেবেন না বলে জেদ ধরে বসেছিলেন। অথচ কেন, তার কোনো সদুত্তরও তাঁর দলের কেউ দিতে পারেননি। সংসদে কেন তিনি মৌন ছিলেন, আর্চবিশপ ও তাঁর সঙ্গীরা নাকি তা জানতে চেয়েছিলেন। মোদি তাঁদের বলেন, তিনি অন্য প্রধানমন্ত্রীদের মতো নন। তাঁর যা কিছু বলার তা আগেই বলে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, 'আপনাদের পছন্দ হোক না হোক সবাইকে নিয়ে সবার জন্য আমি কাজ করে যাব। সবকা সাথ সবকা বিকাশ আমার স্লোগান। তা থেকে আমি বিচ্যুত হব না।'
আর্চবিশপ অবশ্যই নিশ্চিন্তমনে ফিরে আসেননি। সে কথা সাংবাদিকদের কাছে কবুলও করেছিলেন। বলেছিলেন, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁরা চান সরকার সব নাগরিকের ধর্মাচরণের স্বাধীনতা নিশ্চিত করুক। তাঁরা চান সরকার যেন অশান্তি সৃষ্টি হতে না দেয়।
সত্যি বলতে কি, মোদির শাসনের সাত মাসের মাথায় আচমকাই ধর্মান্তর নামের এই বিষফোড়াটা অস্বস্তি শুরু করছে। উত্তর প্রদেশের আগ্রা, মিরাট, মুজফফরনগর, গোন্ডা, আলীগড় জেলা থেকে প্রতিদিনই ধর্মান্তরের কোনো না কোনো কর্মসূচি কোনো না কোনো উগ্র হিন্দু সংগঠন ঘোষণা করছে। শুধু উত্তর প্রদেশই নয়, প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাট, কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, ওডিশা, তামিলনাড়ু থেকেও এ ধরনের খবর আসতে শুরু করেছে। এমন এমন সংগঠনের নাম শোনা যাচ্ছে, যা আগে কোনো দিন কানে আসেনি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা বজরং দল পরিচিত সংগঠন। তাদের নেতারাও পরিচিত। তারা এমন ধরনের কর্মসূচি অতীতে নিয়েছিল। গুজরাটের ডাংস জেলায় নব্বইয়ের দশকে তারা হিন্দু-খ্রিষ্টান দাঙ্গাও বাধিয়েছিল। ওডিশায় স্টেইনস পরিবারকে পুড়িয়েও মেরেছিল। কিন্তু এবার একার ক্ষমতায় বিজেপি সরকার গড়াতে এই দাপাদাপি যেন বড্ড বেড়ে গেছে। এমন ধরনের কথাবার্তা কেউ কেউ বলছেন, যা শুধু সংবিধানবিরোধীই নয়, আইনবিরোধীও। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র করে তোলা হবে। ভারতে চলে আসা তিন কোটি বাংলাদেশিকে হিন্দু হয়ে থাকতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব কথা শুনে সংখ্যালঘুরা ভয়ে সিঁটিয়ে যাচ্ছে। বিবৃতির পাল্টা বিবৃতি আসছে। উত্তেজনা বাড়ছে। অথচ সরকার নীরব। প্রধানমন্ত্রীও স্পিকটি নট।
অথচ এই নরেন্দ্র মোদিই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ও পরে কয়েকটা কথা বেশ জোর দিয়ে বলতেন। যেমন তিনি বলেছেন, ভোটের আগে আমি ছিলাম বিজেপির প্রার্থী। ভোটের পরে এখন আমি সারা দেশের প্রধানমন্ত্রী। এ কথাও বলেছেন, ভারতকে অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী করে বিকাশের পথে নিয়ে যাওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য। লালকেল্লা থেকে ভাষণের সময় তো তিনি এ কথাও বলেছিলেন, অন্তত ১০ বছরের জন্য দাঙ্গা-হাঙ্গামাকে ছুটি (মোরাটোরিয়াম) দিয়ে দেওয়া হোক। এসব কথা বলার উদ্দেশ্য ছিল একটাই, তাঁর অতীতকে ছাপিয়ে বর্তমান যেন প্রতিভাত হয়। মোদি আসলে একধরনের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে চেয়েছিলেন। দেশের মানুষ বিশ্বাসযোগ্যতার সেই অর্ঘ্য তাঁকে সঁপেছিল। এখন ধর্মান্তরের এই ঢক্কানিনাদের মধ্যে সেই বিশ্বাসযোগ্যতারই প্রমাণ তাঁকে রাখতে হবে। তা না পারলে বুঝতে হবে, দেশের মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন।
আর্চবিশপের কাছে মিডিয়াকে দোষী খাড়া করলেও মোদি বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন, বিশ্বাস ও কর্তব্যের ফাঁকে তিনি আটকা পড়ে গেছেন এবং এটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের একনিষ্ঠ কর্মী তিনি। সেই শুরুর দিন থেকেই সংঘের আদর্শে তিনি লালিত। হিন্দুত্ববাদে দীক্ষিত। আজীবন যে আদর্শকে মাথায় করে রেখেছেন, প্রধানমন্ত্রী হয়ে সেই আদর্শকেই সর্বস্তরে স্থাপন করবেন, এই আশা করাটা সংঘের চালকদের দিক থেকে অন্যায় নিশ্চয় নয়। কিন্তু তিনি যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী? যে ভারত ধর্মনিরপেক্ষতাকে স্বেচ্ছায় আলিঙ্গন করে এক উদার ও আধুনিক দেশ হিসেবে মাথাচাড়া দিয়েছে, সেই দেশের কান্ডারি হয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে তাঁকে আইনের শাসনকেই তো আঁকড়ে ধরতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হতে হবে সবার, শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠের নয়। একদিকে বিশ্বাস, অন্যদিকে কর্তব্য—এ দুইয়ের কোনটা প্রাধান্য পাবে, সেই দোলাচলে আপাতত মোদি বন্দী। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সংঘ পরিবারের কাজকর্মে রাশ টানতে হবে। আবার সংঘ পরিবারের লাগাম ছাড়লে তাঁকে পরিহাস করবে তাঁরই দেওয়া স্লোগান, সবকা সাথ সবকা বিকাশ।
এখনে পর্যন্ত ভাগ্য কিন্তু মোদির সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে। ক্ষমতাসীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করে। কমতে কমতে তা ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে এসে ঠেকেছে। বিশ্বের অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধির হার কমছে। এল নিনো ভ্রুকুটি দেখিয়েছিল খুব। শেষ দিকে সেই ভয়ও মারাত্মক হয়ে ওঠেনি। ফসল উৎপাদন মার খেলেও তা সহনীয়। সব মিলিয়ে ভারতের আর্থিক ভবিষ্যৎকেও আন্তর্জাতিক মূল্যায়নকারীরা ইতিবাচক দেখছে। একজন নতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসবই সুখ ও স্বস্তির কথা।
এই ফুরফুরে ভাবটা কিন্তু চোখের পলকে বানচাল করে দিতে পারে ধর্মান্তরের দাপাদাপি। করপোরেট ভারত প্রধানমন্ত্রীকে তারই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। কট্টর হিন্দুত্ববাদী অরাজনৈতিক সংগঠনের হর্তাকর্তারা ধর্মান্তর নিয়ে যে লাগামছাড়া প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, তাতে রাশ টানা না গেলে মোদি যে দ্রুত লক্ষ্যচ্যুত হবেন, শিল্পোদ্যোগীরা এবং বণিকসভার শীর্ষ কর্তারা তা জানাতে মোটেই দ্বিধাগ্রস্ত নন। ফিকির সভাপতি জ্যোৎস্না সুরি স্পষ্ট বলেছেন, 'ধর্মান্তরের জিগির তুলে এই কট্টর হিন্দুত্ববাদী ধর্মীয় নেতারা সরকারের ফোকাসটাই নাড়িয়ে দিচ্ছেন। এটা বিরক্তিকর। এতে দেশের ক্ষতি।' ধর্মান্তরের এ অবাঞ্ছিত প্রবণতা দেশের সংসদকে বেহাল করে রাখায় সিআইআই, অ্যাসোচামের মতো বণিকসভা এবং শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিরা বিরক্ত। কেননা, এ কারণেই আর্থিক সংস্কারের বিলগুলো পাস হলো না। এইচডিএফসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান দীপক পারেখ বলেছেন 'আমরা গণতন্ত্র চাই, অকর্মণ্য গণতন্ত্র নয়।' হিরো মোটরসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পবন মুনজাল প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বও চলে আসে। এঁদের প্রত্যেকেরই আশঙ্কা, ধর্মান্তরের মতো অনভিপ্রেত ঢেউ যেন উন্নয়নের নৌকো ডুবিয়ে না দেয়।
মোদি কি এসব জানেন না? বিপদটা কী এবং কোথায়, তা কি বোঝেন না? নিশ্চয় জানেন, নিশ্চয় বোঝেন। কিন্তু এ এক অদ্ভুত জাঁতাকল। জানেন-বোঝেন বলেই জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের (এই ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে) আজন্ম অঙ্গীকারের প্রসঙ্গ উচ্চারণ পর্যন্ত করেননি। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (সারা ভারতের সবার জন্য এক দেওয়ানি আইন) প্রবর্তনের কথা বলেননি। কাশ্মীর উপত্যকা চষে বেড়িয়েছেন সরকার গড়ার তাগিদে। কিন্তু তা সত্ত্বেও উপত্যকায় একটি আসনও বিজেপির জোটেনি। ধর্মান্তর নিয়ে যে হইচই চলছে, তাতে তাঁর দলের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়লে ছয় বছর পর উপত্যকার মুসলমানেরা তাঁদের প্রত্যাখ্যান করবে কি না, এ প্রশ্ন ও আশঙ্কা একাকার হয়ে উঠছে পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতাদের মনে।
নরেন্দ্র মোদিকে ব্যবস্থা নিতে হবে দ্রুত। চারদিকে ধর্মান্তরের বিষফোড়া পেকে গেলে উন্নয়ন শিকেয় উঠবে। উন্নয়ন, বিকাশ ও সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েই কিন্তু তিনি ক্ষমতাসীন হয়েছেন, ধর্মান্তরকরণের নয়।
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি।

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors