নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়ি: দিল্লিতে চাপের মুখে থাকলেও পাহাড়ে আন্দোলনের পথ থেকে সরছে না মোর্চা৷ কারণ, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা৷ পাহাড়ে রাজনীতির রাশ হাতে থাকতে এ ছাড়া আর উপায়ই বা কী গুরুং-গিরিদের?
তবে মোর্চার নিত্যনতুন কর্মসূচিতে দিশেহারা ভাবটা স্পষ্ট৷ যেমন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে কেন্দ্র-রাজ্যের উপর চাপ বাড়াতে পাহাড়ে ঈদ বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছে মোর্চা৷ অবসরপ্রাপ্ত সামরিক জওয়ানদের আবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন সরকারি মেডেল ফেরত দিয়ে দেন৷ দুপুরে মৃত মোর্চা সমর্থক মঙ্গল সিং রাজপুতের দেহ নিয়ে বিক্ষোভে নাটুকেপনার অভাব ছিল না৷ সন্ধ্যায় নানা জায়গায় মোমবাতি মিছিল হয়েছে৷ সোনাদায় পোড়ানো হয়েছে মমতা-মুকুলের কুশপুতুল৷ ২৯ জুলাই এসপি-র গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করায় ছ'জন এদিন গ্রেপ্তার হওয়ার পর, দার্জিলিং থানায় বিক্ষোভ দেখায় মোর্চা৷ কিন্ত্ত এত সব করেও গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণের লক্ষ্যে যে একচুলও এগোনো যাচ্ছে না, তা দিল্লিতে ভালোই বুঝতে পারছেন রোশন গিরিরা৷ তাঁরা রবিবার বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং ও পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেস নেতা সি পি জোশীর সঙ্গে দেখা করেছেন বটে, কিন্ত্ত কংগ্রেস-বিজেপি কেউ-ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চটিয়ে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ দেখাতে রাজি নয়৷
রবিবার মুম্বইতে অস্ত্রোপচার হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের৷ ফলে তাঁর সঙ্গে মোর্চার এখন দেখা করার সম্ভাবনা দূর অস্ত৷ রাজনাথ সিংও মোর্চাকে হতাশ করে জানিয়েছেন, বিজেপি চায়, ছোট রাজ্যের দাবি বিবেচনা করার জন্য দ্বিতীয় রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করা হোক৷ কমিশন গঠনের দাবি তাঁরা সংসদে জানাবেন বটে, কিন্ত্ত আলাদা করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তাঁরা তুলবেন না৷ সনিয়া আর রাহুল গান্ধীও মোর্চাকে সময় দিতে রাজি হননি৷ তবে মোর্চা নেতৃত্ব চেষ্টা করছেন, আজ থেকে শুরু হতে চলা বাদল অধিবেশনের সময় সংসদে গিয়ে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে৷
চাপের মুখে পড়েও পাহাড়ের রাশ আলগা করতে নারাজ মোর্চা৷ তবে ঈদ বন্ধ ও জওয়ানদের সরকারি মেডেল ফেরত দেওয়ার পরামর্শ নিয়ে বিভ্রান্তি বেড়েছে বই কমেনি৷ এমনিতেই বন্ধের চোটে ঈদের কেনাকাটা বন্ধ৷ তার উপর আবার এই আর্জিতে বিরক্ত দার্জিলিঙের আঞ্জুমান ইসলামিয়া সম্পাদক আবদুর রশিদ সাফ জানিয়েছেন, তাঁরা গোর্খাল্যান্ডের সমর্থক হলেও ঈদ পালন করবেন৷ তিনি বলেছেন, 'কারা এ সব বলছেন, জানি না৷ ঈদ ধর্মীয় অনুষ্ঠান৷ অবশ্যই পালিত হবে৷ গণ-নমাজ পড়ার রীতিও পালন করা হবে৷''
বিভ্রান্তিতে অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানরাও৷ জিটিএর ডেপুটি চিফ, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক জওয়ান সংগঠনের অন্যতম নেতা কর্ণেল রমেশ আলে বলেছেন, 'এ ভাবে সরকারি মেডেল ফেরানো যায় না৷ সেটা চরম পদক্ষেপ৷ তার আগে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ করে, তা দেখে নিতে হবে৷'
এদিন শিলিগুড়িতে মোর্চা নেতা-কর্মীরা রীতিমতো নাটক করেন কালিম্পঙের বাসিন্দা মঙ্গল সিংহ রাজপুতের মৃতদেহ নিয়ে৷ ময়নাতদন্তের পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে কালিম্পঙে ফেরার পথে মোর্চা নেতারা শিলিগুড়ি শহরের ভিতরে ঢুকতে চান৷ মৃতদেহ নিয়ে মোর্চা নেতারা শিলিগুড়িতে ঢুকলে সংঘর্ষ অনিবার্য বুঝে বাধা দেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা৷ দার্জিলিং মোড় থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা আটকে দেওয়া হয়৷ ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মোর্চা নেতারা দার্জিলিং মোড়ে ৩ নম্বর জাতীয় সড়কে বসে পড়েন৷ মিনিট দশেক পরে পুলিশ কমিশনার কে জয়রামন শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠান ভক্তিনগর থানা এলাকায় করার অনুমতি দিলে দলটি রওনা হয়৷ রমেশ আলের অভিযোগ, 'রাজ্য সরকার বার বার আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করছে৷' পুলিশ কমিশনার অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, 'শিলিগুড়ি শহরে মৃতদেহ নিয়ে কনভয় ঢুকলে উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারত৷ সে জন্যই অনুমতি দিইনি৷'
মোর্চা নেতা বিনয় তামাং জানিয়েছেন, আজ সোমবার দুপুর ২টো পর্যন্ত ডম্বরচকে মঙ্গল সিংয়ের দেহ রেখে শ্রদ্ধা জানানো হবে৷ তাঁর অন্ত্যেষ্টিকে কেন্দ্র করে যাতে আইনশৃঙ্খলার কোনও সমস্যা না-হয়, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালিম্পঙে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন এবং পুলিশ সুপার কুনাল আরগরওয়ালও সেখানে গিয়েছেন৷ আবার শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জেলাশাসক৷
তবে তাতে বিশেষ ফল মেলেনি এদিনও৷ প্রশাসনের অভিযোগ, এদিন ৩১ (এ) জাতীয় সড়কে লোহাপুলের কাছে মোর্চা সমর্থকেরা একটি ছোট গাড়িতে আগুন লাগায়৷ যাত্রী নামিয়ে গাড়িটি এদিন ভোরে সিকিম থেকে ফিরছিল৷ ওই ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি৷
তবে মোর্চার নিত্যনতুন কর্মসূচিতে দিশেহারা ভাবটা স্পষ্ট৷ যেমন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে কেন্দ্র-রাজ্যের উপর চাপ বাড়াতে পাহাড়ে ঈদ বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছে মোর্চা৷ অবসরপ্রাপ্ত সামরিক জওয়ানদের আবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন সরকারি মেডেল ফেরত দিয়ে দেন৷ দুপুরে মৃত মোর্চা সমর্থক মঙ্গল সিং রাজপুতের দেহ নিয়ে বিক্ষোভে নাটুকেপনার অভাব ছিল না৷ সন্ধ্যায় নানা জায়গায় মোমবাতি মিছিল হয়েছে৷ সোনাদায় পোড়ানো হয়েছে মমতা-মুকুলের কুশপুতুল৷ ২৯ জুলাই এসপি-র গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করায় ছ'জন এদিন গ্রেপ্তার হওয়ার পর, দার্জিলিং থানায় বিক্ষোভ দেখায় মোর্চা৷ কিন্ত্ত এত সব করেও গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণের লক্ষ্যে যে একচুলও এগোনো যাচ্ছে না, তা দিল্লিতে ভালোই বুঝতে পারছেন রোশন গিরিরা৷ তাঁরা রবিবার বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং ও পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেস নেতা সি পি জোশীর সঙ্গে দেখা করেছেন বটে, কিন্ত্ত কংগ্রেস-বিজেপি কেউ-ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চটিয়ে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ দেখাতে রাজি নয়৷
রবিবার মুম্বইতে অস্ত্রোপচার হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের৷ ফলে তাঁর সঙ্গে মোর্চার এখন দেখা করার সম্ভাবনা দূর অস্ত৷ রাজনাথ সিংও মোর্চাকে হতাশ করে জানিয়েছেন, বিজেপি চায়, ছোট রাজ্যের দাবি বিবেচনা করার জন্য দ্বিতীয় রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করা হোক৷ কমিশন গঠনের দাবি তাঁরা সংসদে জানাবেন বটে, কিন্ত্ত আলাদা করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তাঁরা তুলবেন না৷ সনিয়া আর রাহুল গান্ধীও মোর্চাকে সময় দিতে রাজি হননি৷ তবে মোর্চা নেতৃত্ব চেষ্টা করছেন, আজ থেকে শুরু হতে চলা বাদল অধিবেশনের সময় সংসদে গিয়ে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে৷
চাপের মুখে পড়েও পাহাড়ের রাশ আলগা করতে নারাজ মোর্চা৷ তবে ঈদ বন্ধ ও জওয়ানদের সরকারি মেডেল ফেরত দেওয়ার পরামর্শ নিয়ে বিভ্রান্তি বেড়েছে বই কমেনি৷ এমনিতেই বন্ধের চোটে ঈদের কেনাকাটা বন্ধ৷ তার উপর আবার এই আর্জিতে বিরক্ত দার্জিলিঙের আঞ্জুমান ইসলামিয়া সম্পাদক আবদুর রশিদ সাফ জানিয়েছেন, তাঁরা গোর্খাল্যান্ডের সমর্থক হলেও ঈদ পালন করবেন৷ তিনি বলেছেন, 'কারা এ সব বলছেন, জানি না৷ ঈদ ধর্মীয় অনুষ্ঠান৷ অবশ্যই পালিত হবে৷ গণ-নমাজ পড়ার রীতিও পালন করা হবে৷''
বিভ্রান্তিতে অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানরাও৷ জিটিএর ডেপুটি চিফ, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক জওয়ান সংগঠনের অন্যতম নেতা কর্ণেল রমেশ আলে বলেছেন, 'এ ভাবে সরকারি মেডেল ফেরানো যায় না৷ সেটা চরম পদক্ষেপ৷ তার আগে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ করে, তা দেখে নিতে হবে৷'
এদিন শিলিগুড়িতে মোর্চা নেতা-কর্মীরা রীতিমতো নাটক করেন কালিম্পঙের বাসিন্দা মঙ্গল সিংহ রাজপুতের মৃতদেহ নিয়ে৷ ময়নাতদন্তের পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে কালিম্পঙে ফেরার পথে মোর্চা নেতারা শিলিগুড়ি শহরের ভিতরে ঢুকতে চান৷ মৃতদেহ নিয়ে মোর্চা নেতারা শিলিগুড়িতে ঢুকলে সংঘর্ষ অনিবার্য বুঝে বাধা দেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা৷ দার্জিলিং মোড় থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা আটকে দেওয়া হয়৷ ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মোর্চা নেতারা দার্জিলিং মোড়ে ৩ নম্বর জাতীয় সড়কে বসে পড়েন৷ মিনিট দশেক পরে পুলিশ কমিশনার কে জয়রামন শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠান ভক্তিনগর থানা এলাকায় করার অনুমতি দিলে দলটি রওনা হয়৷ রমেশ আলের অভিযোগ, 'রাজ্য সরকার বার বার আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করছে৷' পুলিশ কমিশনার অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, 'শিলিগুড়ি শহরে মৃতদেহ নিয়ে কনভয় ঢুকলে উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারত৷ সে জন্যই অনুমতি দিইনি৷'
মোর্চা নেতা বিনয় তামাং জানিয়েছেন, আজ সোমবার দুপুর ২টো পর্যন্ত ডম্বরচকে মঙ্গল সিংয়ের দেহ রেখে শ্রদ্ধা জানানো হবে৷ তাঁর অন্ত্যেষ্টিকে কেন্দ্র করে যাতে আইনশৃঙ্খলার কোনও সমস্যা না-হয়, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালিম্পঙে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন এবং পুলিশ সুপার কুনাল আরগরওয়ালও সেখানে গিয়েছেন৷ আবার শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জেলাশাসক৷
তবে তাতে বিশেষ ফল মেলেনি এদিনও৷ প্রশাসনের অভিযোগ, এদিন ৩১ (এ) জাতীয় সড়কে লোহাপুলের কাছে মোর্চা সমর্থকেরা একটি ছোট গাড়িতে আগুন লাগায়৷ যাত্রী নামিয়ে গাড়িটি এদিন ভোরে সিকিম থেকে ফিরছিল৷ ওই ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি৷
No comments:
Post a Comment