এই সময়: ই-গভর্ন্যান্স কর্মসূচি অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েত ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (জিপিএমএস) চালু করা হলেও, হাজারখানেক গ্রাম পঞ্চায়েতে তা যথাযথ ভাবে কাজ করছে না৷ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সবচেয়ে নিচুস্তরে আয়-ব্যয়ের হিসেব রাখা-সহ নাগরিকদের জন্য আরও কয়েক ধরনের পরিষেবা দেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে৷ কিন্ত্ত তা ঠিক মতো কাজ না-করায় ওই সব পঞ্চায়েতে এর সুফল মিলছে না৷
রাজ্যের মোট ৩ হাজার ৩৪৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩ হাজার ২৩৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এখন পর্যন্ত জিপিএমএস চালু হয়েছে৷ একমাত্র দার্জিলিঙের জিটিএ এলাকার ১১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তা চালু করা হয়নি৷ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, তার মধ্যে ৯০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তা ঠিকমতো কাজ করছে না৷ ফলে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের আয়-ব্যয়ের হিসেব সময়মতো পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ কিন্ত্ত কেন ওই পঞ্চায়েতগুলিতে ঠিক মতো কাজ করছে না জিপিএমএস? দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হয় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির দিক থেকে ঘাটতি রয়েছে, না-হয় দপ্তরের তরফে জেলা ও মহকুমা স্তরে যাঁরা এ কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তাঁদের তরফেও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা থাকছে৷
ই-গর্ভন্যান্স কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার ২৩৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হলেও, তার মধ্যে মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ইন্টারনেট পরিষেবা রয়েছে৷ ব্রডব্যান্ড, লিজ লাইন বা ডাটা কার্ডের মতো ব্যবস্থার কোনও একটি ব্যবহার করে সেই পঞ্চায়েতগুলিতে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়৷ বাকি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে এই জিপিএমএস-এর আওতায় আনা হলেও, তাদের হিসেব বা অন্যান্য তথ্য আপলোড করার জন্য যেতে হয় ব্লক অফিসে৷ অথবা ডেকে পাঠাতে হয় দপ্তরের কর্মীদের৷ যে কারণে সমস্যাটি রয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
ব্লক অফিসে গিয়ে এই তথ্য আপলোড করার ব্যবস্থায় হিসেবগুলি অডিট করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে৷ কারণ, এ রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত অডিট করে সিএজি৷ এই সংক্রান্ত তথ্যও তারা সংগ্রহ করে এই জিপিএমএস মারফত্ই৷ বিশ্ব ব্যাঙ্কের আইএসজিপি কর্মসূচিতেও রাজ্যের যে এক হাজারটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তারও প্রধান শর্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের হিসেব রক্ষায় জিপিএমএসের ঠিকমতো ব্যবহার হতে হবে৷ তবে, গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজস্ব পরিকাঠামো না-থাকায় এই ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট, জমি বা বাড়ির কর নির্ধারণ, ট্রেড লাইসেন্স-সহ অন্যান্য যে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার কথা ছিল, তা করা সম্ভবপর হচ্ছে না এখনও৷
তবে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে তা ঠিকঠাক কাজ না করলেও, ২ হাজার ২১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তা যথেষ্ট ভালো ভাবে কাজ করছে৷ কিন্ত্ত যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে তা যথার্থ ভাবে কাজ করছে না, তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিতে পারে দপ্তর? দপ্তর সূত্রের খবর, প্রতি দু'মাস অন্তর তার পর্যালোচনা হয়৷ সেখানে দপ্তরের তরফে জেলা ও মহকুমা স্তরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কাছে জবাব চাওয়া হয়, কেন হচ্ছে এমনটা৷
রাজ্যের মোট ৩ হাজার ৩৪৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩ হাজার ২৩৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এখন পর্যন্ত জিপিএমএস চালু হয়েছে৷ একমাত্র দার্জিলিঙের জিটিএ এলাকার ১১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তা চালু করা হয়নি৷ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, তার মধ্যে ৯০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তা ঠিকমতো কাজ করছে না৷ ফলে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের আয়-ব্যয়ের হিসেব সময়মতো পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ কিন্ত্ত কেন ওই পঞ্চায়েতগুলিতে ঠিক মতো কাজ করছে না জিপিএমএস? দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হয় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির দিক থেকে ঘাটতি রয়েছে, না-হয় দপ্তরের তরফে জেলা ও মহকুমা স্তরে যাঁরা এ কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তাঁদের তরফেও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা থাকছে৷
ই-গর্ভন্যান্স কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার ২৩৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হলেও, তার মধ্যে মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ইন্টারনেট পরিষেবা রয়েছে৷ ব্রডব্যান্ড, লিজ লাইন বা ডাটা কার্ডের মতো ব্যবস্থার কোনও একটি ব্যবহার করে সেই পঞ্চায়েতগুলিতে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়৷ বাকি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে এই জিপিএমএস-এর আওতায় আনা হলেও, তাদের হিসেব বা অন্যান্য তথ্য আপলোড করার জন্য যেতে হয় ব্লক অফিসে৷ অথবা ডেকে পাঠাতে হয় দপ্তরের কর্মীদের৷ যে কারণে সমস্যাটি রয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
ব্লক অফিসে গিয়ে এই তথ্য আপলোড করার ব্যবস্থায় হিসেবগুলি অডিট করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে৷ কারণ, এ রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত অডিট করে সিএজি৷ এই সংক্রান্ত তথ্যও তারা সংগ্রহ করে এই জিপিএমএস মারফত্ই৷ বিশ্ব ব্যাঙ্কের আইএসজিপি কর্মসূচিতেও রাজ্যের যে এক হাজারটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তারও প্রধান শর্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের হিসেব রক্ষায় জিপিএমএসের ঠিকমতো ব্যবহার হতে হবে৷ তবে, গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজস্ব পরিকাঠামো না-থাকায় এই ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট, জমি বা বাড়ির কর নির্ধারণ, ট্রেড লাইসেন্স-সহ অন্যান্য যে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার কথা ছিল, তা করা সম্ভবপর হচ্ছে না এখনও৷
তবে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে তা ঠিকঠাক কাজ না করলেও, ২ হাজার ২১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তা যথেষ্ট ভালো ভাবে কাজ করছে৷ কিন্ত্ত যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে তা যথার্থ ভাবে কাজ করছে না, তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিতে পারে দপ্তর? দপ্তর সূত্রের খবর, প্রতি দু'মাস অন্তর তার পর্যালোচনা হয়৷ সেখানে দপ্তরের তরফে জেলা ও মহকুমা স্তরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কাছে জবাব চাওয়া হয়, কেন হচ্ছে এমনটা৷
No comments:
Post a Comment