ভারতের আন্তঃনদী সংযোগে বাংলাদেশের সর্বনাশ
হায়দার আকবর খান রনো
ভারতের বিজেপি সরকার আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্প যে বাংলাদেশকে পানিশূন্য মরুভূমিতে পরিণত করবে এবং বাংলাদেশের এত বড় সর্বনাশ হবে জেনেও ভারত এ সর্বনাশা প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর ঘোষণা দিয়ে চলেছে। বস্তুত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভারত এ কাজ করতে পারে না। কিন্তু ভারত কোনো গ্রাহ্য করছে না।
ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সাহায্য আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ভারত বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে এত বড় সর্বনাশ করবে। তা তারা করতে পারে না। নৈতিকভাবেও নয়। আন্তর্জাতিক আইনেও নয়। এটা করলে তা হবে অপরাধ।
ভারতের বর্তমান ও আগের সরকার বারবার বলে এসেছে, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু তারা করবেন না। কিন্তু ভয়াবহ ক্ষতিসাধন করেই চলেছেন। প্রথমে ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের একদফা সর্বনাশ করেছিল। সেই সময় মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ঐতিহাসিক ফারাক্কা মিছিল করে জনগণকে এর বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলেছিলেন। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা না করেই তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবু তারা বলছেন, বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি করবেন না। আর সেই মিষ্টি কথায় বাংলাদেশ সরকার চুপ করে বসে আছে। সামান্য প্রতিবাদটুকুও করছে না।
ভারত যা করছে তা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। জাতিসংঘের চার্টারে বলা আছে, 'আন্তর্জাতিক নদীর পানি বন্টিত হবে অবশ্যই পারস্পরিক সমাঝোতা ও অঙ্গীকারের ভিত্তিতে। একটা দেশ কোনো অবস্থাতেই এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যা অন্য দেশের পরিবেশ সমস্যা সৃষ্টি করে এবং কৃষি প্রকল্পকে বাধাগ্রস্ত করে।'
আমি আশা করব, আন্তর্জাতিক আইনের এ শক্তি দ্বারা বলীয়ান হয়ে এবং ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে বিপজ্জনক নদীসংযোগ প্রকল্প থেকে বিরত করবে। যদি তাতে কাজ না হয় তাহলে নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি উত্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে আমি আহ্বান জানাব, ভারতের প্রগতিশীল মহল যেন বাংলাদেশের প্রতি প্রকৃত বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে নিজ দেশের সরকারকে এ অপকর্ম থেকে বিরত করে।
__._,_.___
Pl see my blogs;
Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!
No comments:
Post a Comment