Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Monday, October 5, 2015

গঙ্গার জলে প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের নয়ন চ্যাটার্জি



গঙ্গার জলে প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের


গঙ্গা-যমুনার জলে প্রতিমা বিসর্জনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট৷ আদালতের নির্দেশ মেনে জেলার সর্বত্র এই নির্দেশিকা জারি করে বারাণসী জেলা প্রশাসন৷ আদালতের এই নির্দেশের ফলে আসন্ন গণেশ চতুর্থী ও দুর্গা পুজোয় আর গঙ্গা-যমুনায় ডুব দেবে না প্রতিমা৷http://www.bengali.kolkata24x7.com/ban-on-idol-immersion-in-varanasi.html

পরিবেশবাদী বলছে- মূর্তির গায়ে সিসাযুক্ত রং এবং ক্যাডমিয়ম ও অন্যান্য জৈব যৌগ পানিকে সারা বছর দূষিত করে। সেই সঙ্গে মূর্তির মাটি, বাঁশ, ফুল, বেলপাতা, মালা বা শোলার যাবতীয় অলঙ্কার ভরাট করে তুলে নদী ও পুকুরের তলদেশ।
বিসর্জনের পর মূর্তির গায়ে থাকা সিসা ও ক্যাডমিয়াম পানিতে মিশে মাছের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢোকে। গোসলের সময় ও পানি পানে সিসা নিয়মিত শরীরে ঢুকলে মানুষের বুদ্ধি কমে, স্মৃতি হ্রাস পায়, রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দেয়। এতে মানুষের শরীরে নানাভাবেই নিয়মিত সিসা প্রবেশ করে । ক্যাডমিয়াম এর কারণে দুরারোগ্য ব্যাধি হয় বৃক্কে, যকৃতে ও অস্থিমজ্জায়। মূর্তি বিসর্জন, আবর্জনা, নোংরা ও বর্জ্য নিক্ষেপের কারণে পানি হারায় তার স্বচ্ছতাও। প্রতিমা বিসজর্নের পর কয়েকদিন নদী কিংবা পুকুর ঘাটে যাওয়া যাচ্ছে না দুর্গন্ধে, প্রতিমার উপাাদান পচে সৃষ্টি করে কটূগন্ধময় গ্যাস, পানি ধারণ করে কৃষ্ণ বর্ণ । সূত্র:http://bigyan.org.in/2015/02/10/ganga-pollution/

উল্লেখ্য বাংলাদেশের নদীগুলো অবস্থা তো আরো করুন, সেখানে পানি নেই বললেই চলে। কিছু আছে বদ্ধ জলাশয় ও পুকুর, যেখানে সাধারণ মানুষ মাছ চাষ করে থাকে, কেউ কেউ গোসলের কার্যে ব্যবহার করে। এর মধ্যে যদি প্রায় ৩০ হাজার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়, তবে দূষণ মাত্রা কতটুকু ভয়াবহ হবে, তা চিন্তাও করা যায় না। এতে পানি দূষিত হওয়ার সাথে সাথে মারা যাবে মাছ, ঐ পানিতে স্নানের করলে সৃষ্টি হবে নানা ধরনের চর্ম রোগ। আপনি প্রতিমায় যে উপাদানই ব্যবহার করেন এ দূষণ কিছুইতে এড়াতে পারবেন না।

অনেকে হয়ত বলতে পারেন, 'এতদিন চলে এসেছে, তখন কি দূষণ হয়নি ?'এর উত্তর হচ্ছে, এত বছর কিন্তু এতগুলো মণ্ডপ হতো না, আবার নদীগুলোর গভীরতাও ভালো ছিলো। কিন্তু এখন নদী-পুকুরের অবস্থা নিতান্তই করুণ এবং কোন মতে বেঁচে থাকার মত। এরমধ্যে এক বছরে ৩০ হাজার মূর্তি বিসর্জন মানে হচ্ছে নদী-পুকুরগুলো ইচ্ছে করে গলা টিপে মেরে ফেলা।

বিষয়টি সাথে যদিও ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট জড়িত, তবুও পরিবেশ বাঁচাতে এটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। ভারতে যদি আইন হতে পারে, তবে বাংলাদেশে কেন আইন হবে না? অবশ্যই হতে পারে। ভারতের অনুরূপ বাংলাদেশেও আইন করে নদীগুলোতে প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ করতে হবে, তৈরী করতে হবে বিকল্প কোন ব্যবস্থা।

--
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors