Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Saturday, March 7, 2015

জয়কে অপহরণ ষড়যন্ত্রে বিএনপি নেতার ছেলের কারাদণ্ড

জয়কে অপহরণ ষড়যন্ত্রে বিএনপি নেতার ছেলের কারাদণ্ড

প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে বড় ধরনের ক্ষতির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় জড়িত থাকার দায়ে এক বাংলাদেশিসহ দুজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।

মার্কিন বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে আজ শনিবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানায়, জেলা জজ ভিনসেন্ট এল ব্রিকেটি গত বৃহস্পতিবার এই দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ড পাওয়া দুজনই আদালতের কাছে নিজেদের অপরাধ ও ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করেছেন। কারাদণ্ড পাওয়া বাংলাদেশির নাম রিজভী আহমেদ সিজার (৩৬)। তাঁকে ৪২ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন। তিনি বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটের ফেয়ারফিল্ড কাউন্টির বাসিন্দা।

কারাদণ্ড পাওয়া অপর ব্যক্তি হলেন জোহান থালের (৫১। ঘুষ দেওয়ায় মধ্যস্থতাকারী এই মার্কিন নাগরিককে ৩০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে রিজভী দাবি করেন, বিএনপির উচ্চপর্যায় থেকে পাওয়া নির্দেশে এফবিআইয়ের একজন এজেন্টকে পাঁচ লাখ ডলার ঘুষের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জয়ের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি।

থালের ও রিজভী উভয়েই স্বীকার করেন, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ২০১২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে জয়ের সম্পর্কে এফবিআইয়ের কাছে থাকা তথ্য পাচার করে দেওয়ার জন্য এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের সঙ্গে তাঁরা পাঁচ লাখ ডলারে চুক্তিবদ্ধ হন।মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, এই চুক্তির আওতায় এফবিআইয়ের কাছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অর্থ পাচারের যেসব তথ্য রয়েছে, তা-ও সরিয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দেন ওই এজেন্ট।

ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে থালের ও লাস্টিকের মধ্যে বার্তা বিনিময়ও হয়। এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট লাস্টিককে প্রাথমিকভাবে ৪০ হাজার ডলার ঘুষও দেন থালের ও রিজভী। পুরো কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত লাস্টিককে প্রতি মাসে আরও ৩০ হাজার ডলার করে মোট পাঁচ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।মামলার প্রধান আসামি এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের সাজার বিষয়ে শিগগিরই আদেশ দেবেন আদালত।


http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/470470/%E0%A6%9C%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%B7%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1


অপহরন ষড়যন্ত্রের গল্প বানানো হচ্ছে যেভাবে

ঢাকার অধিকাংশ মিডিয়াতেই আজকের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম হিসেবে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।”যুক্তরাষ্ট্রে জয়কে অপহরণের ষড়যন্ত্র: বিএনপি নেতার ছেলের কারাদণ্ড ‘- শিরোনামটিই সংবাদের গুরুত্বকে নিশ্চিত করে।
পত্রিকাগুলো এই খবরের সূত্র হিসেবে মার্কিন বিচার বিভাগের উল্লেখ করেছে।কিন্তু মার্কিন বিচার বিভাগের নথিতে কি জয়কে অপরহনের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ আছে? তা হলে ঢাকার মিডিয়া এই তথ্যটুকু কোথায় পেলো?
না, ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের (ঢাকার মিডিয়া যাকে মার্কিন বিচার বিভাগ বলছে) বিবৃতিতে ‘জয়কে অপহরনের ষড়যন্ত্রের’ কথা নেই।
ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের বিবৃতিতে বলা হচ্ছে:
In pleading guilty, Thaler and Ahmed admitted that, from September 2011 through March 2012, Thaler and FBI Special Agent Robert Lustyik solicited payments from Ahmed, in exchange for Lustyik’s agreement to provide internal, confidential documents and other confidential information to which Lustyik had access by virtue of his position as an FBI Special Agent. Thaler was Lustyik’s friend, and Ahmed, a native of Bangladesh, was an acquaintance of Thaler. The confidential documents and information pertained to a prominent citizen of Bangladesh who was affiliated with a political party opposing Ahmed’s views. Ahmed requested the confidential information to help him locate and harm his political rival and others associated with the intended victim.
বিএনপি নেতার পুত্র এবং এফবিআই সদস্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে- সে সম্পর্কে ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস বলেছে,Lustyik pleaded guilty on Dec. 23, 2014, to all five counts against him in the indictment: conspiracy to engage in a bribery scheme; soliciting bribes by a public official; conspiracy to defraud the citizens of the U.S. and the FBI; theft of government property; and unauthorized disclosure of a Suspicious Activity Report.
ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস বাংলাদেশের যে ‘প্রমিন্যান্ট ফিগারের’ কথা বলছে- তিনি যে সজীব ওয়াজেদ জয়, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।অভিযুক্তরা জয় সম্পর্কে গোপনীয় তথ্য এবং ‘আইনি দলিল’ (লিগ্যাল ডকুমেন্ট) সংগ্রহ করতে
এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দিয়েছিলো। তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগগুলো হচ্ছে (১) ঘুষ কেলেংকারি (২) সরকারি কর্মচারী কর্তৃক ঘুষ চাওয়া (৩) মার্কিন নাগরিক এবং এফবিআইকে প্রতারনা করে অর্থ আদায় (৪) সরকারি সম্পত্তি চুরি (৫) সন্দেহজনক এক্টিভিটি রিপোর্টের অননুমোদিত প্রকাশ।
কোথাও কিন্তু কাউকে অপহরনের কথা বা ঈঙ্গিত নেই।তা হলে ঢাকার পত্রিকাগুলো জয়কে অপহরনের ষড়যন্ত্রের গল্প ফাঁদলো কেন?

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors