Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Thursday, February 19, 2015

পর্যাপ্ত বরাদ্দ, জনবল, সরঞ্জামাদি থাকার পরও অভিযোগের শেষ নেই দুই পাখাওয়ালার বিরুদ্ধে!

পর্যাপ্ত বরাদ্দজনবলসরঞ্জামাদি থাকার পরও অভিযোগের শেষ নেই দুই পাখাওয়ালার বিরুদ্ধে!

চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে থমকে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকার মশক নিধন কর্মসূচি নিয়মিত মশক নিধন করতে না পারায় দিনের পর দিন মশার যন্ত্রণা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছেমশাঘটিত রোগ-ব্যাধির প্রকোপও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে থমকে গেছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম বেড়ে গেছে মশার উপদ্রব
রাজধানীর মশা নিধনে গড়ে প্রতিমাসে এক কোটি ৯৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে কিন্তু পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে অভিজাত এলাকার কোথাও মশার উৎপাত কমছে না দিন দিনমশা বাড়লেও কর্তৃপক্ষ বলছে নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে
মশার কামড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ মসজিদে নামায-কালামে রত মুসল্লীদের একাগ্রতায় হুল ফুটাচ্ছে মশা কয়েল দিয়ে মশা যাচ্ছে না এক সময় কয়েলে কাজ হলেও এখন স্প্রে করেওকাজ হয় না আগে শুধু রাতে উৎপাত থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে দিনেও সমানতালে হামলে পড়ছে
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেমশা নিধনে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি তবে বর্তমানে দেশে লাগাতার হরতাল-অবরোধ চলার কারণেআমাদের নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চালাতে সমস্যা হচ্ছে কিন্তু নগরবাসী বলছেনিয়মিত মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না
অথচ প্রতি বছরই মশা নিধনের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ রাখে ঢাকা উত্তর  দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মশক নিয়ন্ত্রণ কাজে ২৩ কোটি ৫০ লাখটাকা বরাদ্দ করে উভয় সিটি কর্পোরেশন এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বরাদ্দ ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বাজেট  কোটি টাকা সে অনুযায়ীগড়ে প্রতি মাসে বাজেট দাঁড়ায়  কোটি ৯৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা রাজধানীর কথিত অভিজাত এলাকা উত্তরাবনানীবারিধারাগুলশান   মহাখালীখিলগাঁওতেজগাঁও শিল্পএলাকাসাততলা বস্তিরামপুরাবাড্ডামধ্যবাড্ডাবনশ্রীটিটিপাড়ামদিনাবাগমাদারটেকআহমদবাগমুগদাপাড়াগোড়ানকুড়িলগাবতলীপাইকপাড়ারূপনগরমিরপুর-১০ ১২ নম্বরকালশীপল্লবীকাফরুলক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটাধানমন্ডিমুহম্মদপুরশ্যামলীকল্যাণপুরপুরান ঢাকাসদরঘাটপল্টনমতিঝিলগোপীবাগমানিকনগরকমলাপুর,মগবাজারযাত্রাবাড়ীওয়াপদা কলোনিদনিয়াজুরাইনসায়েদাবাদশাহজাহানপুরআজিমপুরলালবাগ  বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকাহাজারীবাগকামরাঙ্গীরচর এলাকাবাসীর মশা নিয়েঅভিযোগের শেষ নেই
সিটি কর্পোরেশনের হিসাব অনুযায়ীনগরীতে পাঁচ শতাধিক খাল-ডোবা রয়েছে কিন্তু এসব পরিষ্কারের কোনো উদ্যোগ নেই তাই এসব খাল-ডোবা মশার বংশবৃদ্ধির উর্বর ক্ষেত্রে পরিণতহয়েছে আবার রাজধানীর বেশির ভাগ বাসিন্দা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে নোংরা করে রাখে তাছাড়া সিটি কর্পোরেশন সড়কে কনটেইনারে রাত-দিন সবসময়ই ময়লা-আবর্জনাজমা করে রাখে অনেক দিন সেখানে ময়লা জমে থাকলে তা পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় এবং জন্ম নেয় নতুন মশা যে কারণে মশার উৎপাত যেন নগরবাসীর নিয়মিত ভোগান্তির কারণ হয়েদাঁড়িয়েছে পর্যালোচনায় জানা যায়মশক নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর প্রতিটি মহল্লাভিত্তিক মশক নিধন কর্মী রয়েছে দুই সিটি কর্পোরেশনে মশক নিধন কর্মী রয়েছে ৬৩৮ জন উড়ন্ত মশা মারারযন্ত্র বা ফগার মেশিন রয়েছে প্রায় ৫০০টি ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে রয়েছে ১০ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ প্রায় ১৫ কর্মকর্তা পর্যাপ্ত বরাদ্দজনবলসরঞ্জামাদি থাকার পরও মশক নিধনে পুরোপুরিব্যর্থ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন
উল্লেখ্যসিটি কর্পোরেশনের পক্ষেও মশা মারার ওষুধ এবং যন্ত্রপাতি কেনা নিয়েও রয়েছে নানা দুর্নীতি-অনিয়মসহ লুটপাটের অভিযোগ কম দামের ওষুধ কেনা হয়েছে বেশি দাম দেখিয়েতাতেও কতটা ওষুধকতটা ভেজাল কে জানেযে দেশে প্রায় প্রতিটি খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানো হয়সে দেশে মশার ওষুধে ভেজাল দেয়া হবে নাএটা অবিশ্বাস্যসুতরাং মশককুলের আর কিদোষডিসিসি লোকদেখানো ভেজালমিশ্রিত ওষুধ কোথাও দেয়া হলেও তাতে মশা তো দূরে থাকএমনকি লার্ভাশুককীটমুককীট কোনোটাই মরে না মহানগরীর  হাজার ১৪২ বিঘানীরাশয়ও ময়লা-নোংরা আবর্জনা  কচুরিপানায় পরিপূর্ণঅরক্ষিতঅবহেলিতপরিত্যক্ত এসব নীরাশয় পরিষ্কার করে মৎস্য চাষ করা হলেও মশা সহজে বংশ বিস্তার করতে পারতো নাতবে কথায় বলেবিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কেমশা মারতে কামান দাগার দায়িত্ব কারঅবশ্যই ডিসিসি কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছেতাদের নাকে মশা ঢুকলেও ঘুম ভাঙবে নাসরকার  সংশ্লিষ্ট এলজিআরডি মন্ত্রণালয় কী সে দায়িত্ব নেবে?
পাশাপাশি উল্লেখ্য যেমশক নিধন কার্যক্রম মোটামুটি সারা বছর ধরেই পরিচালিত হওয়া উচিত ওষুধ স্প্রের পাশাপাশি নালানর্দমাডোবাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হলে মশার বংশবিস্তারের ক্ষেত্র ধ্বংস হবে ডিসিসি ক্রাশ প্রোগ্রামে এসব কার্যক্রম থাকলেও মশক নিয়ন্ত্রণকারী কর্মীদের তৎপরতা  ব্যাপারে খুব কমই দেখা যায় কিছু কথিত ভিআইপি  বিত্তশালী এলাকায়দু-তিন দিন পরপর ওষুধ ছিটাতে দেখা গেলেও অন্যান্য এলাকায় দেখা যায় কদাচিৎ মশক নিধন কার্যক্রমে  ধরনের বৈষম্যের অবসান আশু কাম্য সব নাগরিকই সিটি কর্পোরেশনকে করদেয় সব এলাকার প্রতিই ডিসিসি দৃষ্টি থাকতে হবে তবে যেসব এলাকায় মশার উৎপাত বেশিসেগুলো অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত এটাও ডিসিসি কর্মীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors